ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ মোকাবিলায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাসহ প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে বাংলাদেশ পুলিশ।

পুলিশ সদরদপ্তর জানায়, ঘূর্ণিঝড় পূর্ববর্তী, ঘূর্ণিঝড়কালীন এবং ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী সময়ে উদ্ধার অভিযান ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাসহ সব প্রস্তুতি গ্রহণের জন্য দুর্যোগপ্রবণ উপকূলবর্তী জেলাসমূহের পুলিশ ইউনিটসহ পুলিশের সব ইউনিটকে বিশেষ নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।

শনিবার (১৩ মে) পুলিশ সদরদপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) মো. মনজুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মো. মনজুর রহমান জানান, পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের অপারেশনস কন্ট্রোল রুম সার্বক্ষণিক ঘূর্ণিঝড় মোখার‌ গতি-প্রকৃতির খোঁজখবর রাখছে এবং সংশ্লিষ্ট পুলিশ ইউনিটকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করছে। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় জেলা পুলিশের পাশাপাশি বিশেষায়িত ইউনিটসমূহের মধ্যে এপিবিএন, নৌ পুলিশ, ট্যুরিস্ট পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশসহ পুলিশের সব ইউনিট নিয়োজিত রয়েছে।

তিনি জানান, পুলিশ ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় উপকূলীয় এলাকার জনসাধারণকে আশ্রয় কেন্দ্রে/নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেওয়ার জন্য মাইকিং করছে, তাদেরকে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করছে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত রয়েছে। দুর্যোগপ্রবণ এলাকায় পুলিশের বিশেষ নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।

দ্রুততম সময়ে উদ্ধার অভিযান পরিচালনার জন্য নৌ পুলিশের জলযান প্রস্তুত রাখা হয়েছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নিরাপত্তায় নিয়োজিত এপিবিএন রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি রোহিঙ্গা জনসাধারণকে নিরাপদ স্থানে অবস্থান করার জন্য সতর্ক করে মাইকিং করছে।

তিনি আরও জানান, ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী সময়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় কমিউনিটি ও বিট পুলিশিংয়ের সদস্যদের সম্পৃক্ত করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় দুর্যোগপ্রবণ এলাকার সংশ্লিষ্ট পুলিশ ইউনিটে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু করা হয়েছে। মোখা সংক্রান্ত যেকোনো তথ্য ও সেবা গ্রহণের জন্য পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের কন্ট্রোল রুমে ০১৩২০০০১৩০০, ০১৩২০০০১২৯৯ নম্বর অথবা নিকটস্থ থানা বা পুলিশ ইউনিট অথবা ৯৯৯ এ যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ জানানো হচ্ছে।

বাংলাদেশ পুলিশ ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী সময়েও উদ্ধার তৎপরতা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাসহ অন্যান্য কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে। জনগণের নিরাপত্তায় বাংলাদেশ পুলিশ সবসময় জনগণের পাশে আছে।

এমএসি/এমএ