কক্সবাজার ও উত্তর মিয়ানমার উপকূলে আঘাত হেনেছে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা। এ ঘূর্ণিঝড়টি কক্সবাজারের সেন্টমার্টিন ও টেকনাফ উপকূলে রোববার বিকেল ৩টা পর্যন্ত তাণ্ডব চালাবে। এই মুহূর্তে উপকূলে ব্যাপক ঝোড়ো বাতাস বইছে। বাতাসে যেন মাছ ধরার ‘সাম্পান’ ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেজন্য সেগুলো নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিচ্ছেন জেলেরা।

রোববার (১৪ মে) দুপুর ১টার দিকে টেকনাফের বাহারছড়া এলাকার মেরিন ড্রাইভ সড়কে এমন চিত্র দেখা গেছে।

প্রায় ৮/১০ মানুষ তাদের সাম্পানগুলো সরানোর কাজ করছেন। সাম্পানের নিচে চাকা লাগিয়ে সেটিকে ৪ চাকা গাড়ির মতো তৈরি করা হয়েছে। সোজা রাখার জন্য বা ব্যালান্স রাখতে সবাই হাতে হাত ধরে কাজ করছেন। সাম্পানকে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে টেনে নেওয়ার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে ট্রাক্টর।

সাম্পান সরাতে কাজ করা সেলিম নামে একজন ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা বাহারছড়া গ্রামের জেলে। এখানে আমাদের অনেকগুলো সাম্পান রয়েছে। বাতাস ও ঢেউ আমাদের সাম্পানগুলো ভেঙে ফেলে। ঘূর্ণিঝড়ে যেন সাম্পানগুলো ভেঙে না যায় সেজন্য সরিয়ে নিচ্ছি। উপায় নেই, ঝোড়ো বাতাসের মধ্যেও ঝুঁকি নিয়ে সরাতে হচ্ছে। 

ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে কক্সবাজার জেলার সেন্টমার্টিনে বাতাসের গতি আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। এমনকি প্রবল বাতাসের কারণে ওই এলাকার বহুতল ভবনগুলো কাঁপছে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

রোববার দুপুর ১টায় রাজধানীর আগারগাঁও আবহাওয়া অধিদপ্তরে আয়োজিত বিশেষ সংবাদ সম্মেলনে মোখার সবশেষ তথ্য জানান অধিদপ্তরের পরিচালক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান।

তিনি বলেন, আমি এইমাত্র সেন্টমার্টিন আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ আমিরুল ইসলামের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি জানিয়েছেন, বর্তমানে সেন্টমার্টিনে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটারের মতো, যা বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ছিল ৮০ কিলোমিটারের মতো।

আজিজুর রহমান বলেন, জোয়ারের পানি ইতোমধ্যে বাড়তে শুরু করেছে, এমনি বিকেল চারটা নাগাদ জোয়ারের পরিমাণ আরও বাড়বে। তবে বড় ধরনের জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা নেই। জলোচ্ছ্বাস হলে পানির উচ্চতা ৮ থেকে ১২ ফিটের মতো বেড়ে যাবে।

এমএইচএন/ওএফ