অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা আঘাতের পর ভয় কাটিয়ে অনেকটাই স্বাভাবিক কক্সবাজার ও টেকনাফ। সকালে থেকে উঁকি দিয়েছে সূর্য। একইসঙ্গে বেড়েছে তাপমাত্রাও। অন্যদিকে তিনদিন পর সমুদ্র সৈকত অপেক্ষা করছে পর্যটকের জন্য।

সোমবার (১৫ মে) বেলা ১১টার দিকে কক্সবাজারের ডলফিন মোড় ও কলাতলি সমুদ্র সৈকত ঘুরে দেখা যায়, আগের মতোই কর্মচঞ্চল হয়েছে শহর। খুলেছে ডলফিন মোড় ও এর আশেপাশের সব দোকানপাট। বিভিন্ন গন্তব্যের যাওয়া আসার গাড়িগুলো নিয়মিত এ মোড়ে যাত্রাবিরতি করছে।

এদিকে কলাতলি সৈকতে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় শতাধিক ‘বিচ চেয়ার’ পাতা আছে। এর কয়কেটিতে আবার কিছু কিছু পর্যটক আছেন। অন্যদিকে পর্যটকদের ছবি তুলে দেওয়ার জন্য আলোকচিত্রীরা ক্যামেরা হাতে অপেক্ষা করছেন। বিচ বাইকগুলোর চালকরাও অপেক্ষায় রয়েছেন।

সমুদ্র সৈকতে কাজ করা আলোকচিত্রীদের একজন রফিকুল ইসলাম বাবুল ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের জন্য ৩ দিন আমরা সমুদ্র সৈকতে কাজ পারিনি। আজকে সমুদ্র সৈকতে এসেছি। প্রতিদিন হাজার থেকে বারোশ ছবি তুললেও আজ বেলা ১১টা পর্যন্ত একটি ছবিও তুলতে পারিনি। কারণ ঢাকার কোনো পর্যটক এখন কক্সবাজারে নেই।

বিচ বাইকের মালিক রফিকুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, তিন দিন বন্ধ থাকার পর আজ সমুদ্র সৈকতে এসেছি। সমুদ্র সৈকত আজ পর্যটকদের জন্য খুললেও এখন পর্যন্ত তেমন পর্যটক নেই। কারণ ঢাকা থেকে আসছে তাদের অনেক সময় লাগবে। আশা করা যায় আগামীকাল থেকে পর্যটক মুখর থাকবে কক্সবাজার।

কলাতলি বিচে দায়িত্ব পালন করা টুরিস্ট পুলিশের অ্যাসিস্ট্যান্ট টাউন সাব-ইন্সপেক্টর মো. আশরাফ হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিচ বন্ধ বা বন্ধ না এমন কোনো সংবাদ আমরা এখনও পাইনি। এখনও লাল পতাকা টাঙানে আছে। কেউ যাতে দূরে না যায় আমরা সেই বিষয়টি দেখছি।

এমএইচএন/এসএম