চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নে দিদারুল আলম (৫৩) নামে একজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৬ মে) সন্ধ্যায় ইউনিয়নের মোকামিপাড়া গ্রামের মো. ইউনুসের বাড়ি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে দিদারের ছেলে বাদী হয়ে বুধবার রাউজান থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় মো. ইউনুছ, মো. ইদ্রিস, মো. আলমগীর ও মো. ফেরদৌসসহ মোট চারজনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজনকে আসামি করা হয়।

পুলিশ জানায়, দিদার কাতারপ্রবাসী ছিলেন। আনুমানিক ৭ বছর আগে তিনি দেশে ফেরেন। এখানে তিনি ব্যবসা-বাণিজ্য করে ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েন। পাওনাদারদের চাপে গত আড়াই বছর ধরে তিনি নিরুদ্দেশ হয়ে পড়েন। গত ১৩ মে দিদারকে হঠাৎ নোয়াপাড়া বাজারে দেখতে পায় পাওনাদাররা। এরপর কয়েকজনে মিলে তাকে তুলে নিয়ে ইউনুসের বাড়িতে আটকে রাখেন। এরপর দিদারের পরিবারকে খবর দেওয়া হয়। 

রাউজান থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবদুল্লাহ আল হারুন ঢাকা পোস্টকে বলেন, একপর্যায়ে মঙ্গলবার দিদার ইউনুসদের জানান তার ভাই কিছু টাকা পাঠাচ্ছে। এরপর ইউনুসরা সেই টাকা আনতে ব্যাংকে গেলে দিদার দরজা আটকে গলায় ফাঁস দেন। পরবর্তীতে দিদারের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলা হচ্ছে। ময়নাতদন্তে হত্যার কিছু পাওয়া গেলে তখন সেভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এমআর/এসকেডি