অবৈধ চাঁদাবাজ ইন্টারনেট ব্যবসায়ীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে তাদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন।

শনিবার (২০ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সংগঠনটি আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানানো হয়।

মানববন্ধনে সংগঠনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা লক্ষ্য করেছি যে রাজধানীর বিভিন্ন আবাসিক এলাকায় ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার নামে এক শ্রেণির অবৈধ চাঁদাবাজ সিন্ডিকেট ব্যবসায়ী গড়ে উঠেছে। যারা মূলত বৈধ আইএসপি অপারেটরের কাছে মোটা অঙ্কের চাঁদা আদায় করে থাকে, আর না দিলে তাদেরকে হুমকি দেয়। এসব অবৈধ চাঁদাবাজদের কারণেই সরকারের এক দেশ এক রেট এর সুফল জনগণ অর্থাৎ গ্রাহক পাচ্ছে না। ডিশ ব্যবসার অন্তরালে এই সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে। এরা আবার পপ সার্ভিসের নামে লাখ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে থাকে।

তিনি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে একটি আবাসিক এলাকায় আবাসিক সংযোগের ক্ষেত্রে পাঁচ লাখ টাকা এবং বাণিজ্যিক সংযোগের ক্ষেত্রে এক লাখ ৫০ হাজার টাকা দাবি করে আইএসপিএবি এর কাছে চিঠি দিয়েছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। এর সত্যতা আমরা আইএসপিএবি’র গণমাধ্যমে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানতে পেরেছি। আইএসপিএবি’র বৈধ অপারেটররা আগামীতে ওই এলাকায় সেবা দেওয়া থেকে বিরত থাকতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে এবং আমরা জানতে পেরেছি আগামী রোববার ওই আবাসিক এলাকায় ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ রাখবে।

মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে আবাসিক এলাকার গ্রাহকরা সরকারের দেওয়া সুবিধা থেকে শুধু বঞ্চিত নয়, ইন্টারনেট ব্যবহার করা থেকে বঞ্চিত হবে। এসব অবৈধ চাঁদাবাজদের কারণে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব থেকে যেমন বঞ্চিত হচ্ছে, তেমনি গ্রাহকরা এক দেশ এক রেটে সুবিধার পাশাপাশি মানসম্মত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আগামীতে যাতে গ্রাহকরা মানসম্মত এবং সরকার নির্দেশিত সেবা পেতে পারে এ ব্যাপারে বিটিআরসি ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য আমরা বিনীত আহ্বান জানাচ্ছি। পাশাপাশি চাঁদাবাজ সিন্ডিকেট চক্রকে দ্রুত আইনের আওতায় আনার আহ্বান জানাচ্ছি। 

ডিশ লাইন এবং ইন্টারনেট সেবা একই ফাইবারে বহন করার নিয়ম না থাকলেও এসব অবৈধ আধিপত্য বিস্তারকারী চাঁদাবাজ চক্র প্রতিনিয়ত চাঁদাবাজি করে আসছে, একই পরিস্থিতি রাজধানীর অন্যান্য আবাসিক এলাকাতেও। আমাদের দাবি দ্রুত ইন্টারনেট সংকট সৃষ্টির পরিস্থিতি থেকে গ্রাহককে মুক্তি দিয়ে বৈধ ব্যবসায়ীদের সেবা দেওয়ার সুযোগ দিয়ে চাঁদাবাজ চক্রকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।

মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন গণসংহতি আন্দোলনের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূইয়া, জাতীয় স্বাধীনতা পার্টির চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজু, বাংলাদেশ মোবাইল ফোন রিচার্জ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলু, লেবার পার্টির মহাসচিব আব্দুল্লাহ মামুন, ক্যাবের সদস্য সেলিম, সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতা শেখ ফরিদ, ডা. আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।  

এমএইচএন/জেডএস