বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ফেরা প্রবাসীদের টার্গেট করে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে দীর্ঘদিন ধরে ডাকাতি করা চক্রের নারীসহ চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা জেলা পুলিশ।

গত ০৫ মার্চ রাত দেড়টার দিকে ঢাকা-মাওয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে থেকে সৌদি প্রবাসী সুমন মিয়া তার বোন ও ভাগ্নেদের নিয়ে ফরিদপুর যাওয়ার পথে ডাকাতরা তাদের গাড়ি থামিয়ে ডিবি পরিচয় দিয়ে পথরোধ করেন। এসময় তল্লাশির নামে বিদেশ থেকে আনা মালামাল তাদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে যায় চক্রটি। একই কায়দায় ২০২২ সালের ২ নভেম্বর রাত ৪টার দিকে ফরিদপুরের দেলোয়ার মাতব্বর তার মালয়েশিয়া প্রবাসী ছেলেকে নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে একইভাবে ডাকাতির শিকার হন।

এ দুইটি ঘটনায় দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় পৃথক দুইটি মামলা করেন ভুক্তভোগী প্রবাসীরা। এরই ধারাবাহিকতায় চক্রটিকে ধরতে মাঠে নামে ঢাকা জেলা পুলিশ।

মঙ্গলবার (২৩ মে) সন্ধ্যায় ডাকাত দলের একজন নারীসহ চার সদস্যকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোবাশ্বিরা হাবিব খান বলেন, দুইটি মামলার তদন্তে নেমে তথ্য প্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর রামপুরা বউবাজার, বরিশালের কোতোয়ালিসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে নারীসহ চার ডাকাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে ডাকাতি করে নেওয়া স্বর্ণালংকার ও মালয়েশিয়ান মুদ্রা উদ্ধার করা হয়।

তিনি জানান, গ্রেপ্তার ডাকাত দলের সদস্যরা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) পরিচয়ে দীর্ঘদিন ধরে ডাকাতিতে জড়িত থাকার কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন। তারা হলেন, চক্রের মূলহোতা ডাকাত সর্দার সুমন মিয়া (২৫), মোস্তফা (৩২), মো. আলামিন (২৫), ও শারমিন আক্তার (৩৩)।

পুলিশ বলছে, চক্রটি ময়মনসিংহ, বরিশাল, বাগেরহাটসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ঢাকায় আসে। এরপর বিমানবন্দরে বসে বিদেশ ফেরত যাত্রীদের বহনকারী গাড়ি টার্গেট করে। তারপর ওই গাড়ির পিছু নিয়ে ঢাকা-মাওয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্জন এলাকায় ডিবি পরিচয়ে অবৈধ মালামাল রয়েছে এমন তথ্যের কথা বলে ডাকাতি করে। ডাকাতি শেষে নিজ নিজ জেলায় গিয়ে আত্মগোপন করে মোবাইলসহ সব যোগাযোগ বন্ধ করে দেন তারা।

জেইউ/এফকে