রাত পোহালেই মাঠে গড়াচ্ছে বহুল আলোচিত গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন। বৃহস্পতিবার (২৫ মে) দিনব্যাপী ভোটের মাধ্যমেই নির্বাচিত হবেন গাজীপুরের পরবর্তী নগরপিতা। শেষ সময়ে নির্বাচনের পুরোপুরি আমেজ বিরাজ করছে নগর জুড়ে। ছোট-বড়  রাজনৈতিক দলগুলোর কার্যালয় বেশ সরগরম। তবে বড় দুই রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ের চিত্র ভিন্ন। 

মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনীত দলীয় প্রার্থী অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খানের বিজয় নিশ্চিত করতে নেতাকর্মী সমর্থকরা এখনো ভিড় করছেন আওয়ামী লীগের জেলা কার্যালয়ে। অপরদিকে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তে নির্বাচনে অংশ না নেওয়ায় এ নির্বাচন ঘিরে পোস্টার, জনসংযোগ বা নেতাকর্মীদের ভিড় দূরে থাক কোনো আমেজই নেই বিএনপির কার্যালয়ে।

মঙ্গলবার (২৪ মে) রাত সাড়ে ১১টার দিকে সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, জয়দেবপুরের আওয়ামী লীগের জেলা কার্যালয়ের সামনে ও ভেতরে নেতাকর্মী ও সমর্থকরা অবস্থান করছেন। মেয়র পদপ্রার্থী অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খানও রয়েছেন ভেতরে। কার্যালয়ের  সামনেই কয়েকজন পোস্টার লাগানোর কাজ করছেন। কর্মী-সমর্থকরাও বেশ উৎফুল্ল। শতভাগ জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী তারা।

এর ঠিক উল্টো চিত্র বিএনপির গাজীপুর জেলা কার্যালয়ে। একেবারেই শুনশান নীরবতা বিরাজ করছে পুরো প্রাঙ্গণজুড়ে। কার্যালয়ের সামনে কোনো লোকজন নেই। বারান্দায় ঘুমানোর প্রস্তুতি নিতে দেখা গেল কয়েকজনকে। অফিসের ভেতরে ঢুকে দেখা গেল ইদ্রিস মিয়া নামের একজন বিএনপি কর্মী বসে আছেন। 

তিনি জানান, কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের কারণে কেউ গাজীপুর সিটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেননি। তাই কার্যালয়েও কোনো নির্বাচনী আমেজ নেই। অন্য সময়ের মতোই আজ (বুধবার) অফিস খোলা ছিল। আমরা এসেছি। বৃহস্পতিবারও যথানিয়মে অফিস খোলা থাকবে। তবে নির্বাচন নিয়ে আমাদের কোনো মাথাব্যথা নেই।

প্রসঙ্গত, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১৩ সালের ৬ জুলাই। ওই বছর বিএনপি মনোনীত প্রয়াত অধ্যাপক এম এ মান্নান জয়লাভ করেছিলেন। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খান। 

দ্বিতীয় সিটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২০১৮ সালের ২৬ জুন। তখন নির্বাচনে জয়লাভ করেন আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম। ওই সময় বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ছিলেন হাসান উদ্দিন সরকার। আর তৃতীয়বারের মতো সিটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বৃহস্পতিবার। তবে এ বছর বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নেওয়ায় কোনো প্রার্থী নেই।

আরএইচটি/ওএফ