গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৫৭নং ওয়ার্ডের টঙ্গীর আরিচপুর মসজিদ রোডের দারুস সালাম মাদরাসা কেন্দ্রে ভোট দেওয়ার কথা রয়েছে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খানের। দেখা গেছে, ফজরের নামাজের পর থেকেই লাইনে এসে দাঁড়িয়েছেন ভোটাররা।

বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার দিকে ওই কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, অন্তত দেড় শতাধিক ভোটার লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে লাইন লম্বা হচ্ছে। এর বাইরে পুরো এলাকা জুড়ে নিস্তব্ধতা বিরাজ করছে।  

লাইনে দাঁড়ানো বেশিরভাগই পঞ্চাশোর্ধ্ব মানুষ। এদের মধ্যে অনেকেই আবার শ্রমজীবী।

সত্তোরর্ধ্ব বয়সী ভোটার মোহাম্মদ শাহজাহান মোল্লা ঢাকা পোস্টকে বলেন, ফজরের নামাজ পড়ে লাইনে এসে দাঁড়িয়ে আছি। সকালের কাজ সকালে শেষ করাই ভালো। সারাদিন অন্য কাজও আছে।

ভোটার জালাল উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, ভোট হচ্ছে উৎসবের। তাই সকাল সকাল ভোট দিতে চলে এসেছি। সকালে ভোট দিলে সারা দিন ফ্রি থাকা যায়।

তিনি আরও বলেন, এখানের ভোটের হাওয়া ভালো। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আজমত উলাহ সাহেব পাস করবেন। 

ইভিএমে ভোট দিতে অসুবিধা হবে না জানিয়ে সত্তোরর্ধ্ব আব্দুল কাদের ঢাকা পোস্টকে বলেন, ইভিএমে প্রথম ভোট দেবো এবার। এর আগে সব সময় কাগজে ভোট দিয়েছি। ইভিএমে ভোট দিতে অসুবিধা হবে না। ইভিএম সম্পর্কে লোকজন আমাকে জানিয়েছে।

বৃহস্পতিবার গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) চলবে এ ভোটগ্রহণ।

তৃতীয়বারের মতো গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ৩৩৪ জন প্রার্থী ভোট যুদ্ধে অংশ নিচ্ছেন। তাদের মধ্যে মেয়র পদে ৮ জন, সাধারণ আসনের কাউন্সিলর পদে ২৪৬ জন ও সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ৭৯ জন প্রার্থী। এর মধ্যে সাধারণ ওয়ার্ডে একজন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ায় ২৫ মে নির্বাচনে লড়বেন ৩৩৩ জন প্রার্থী।

এবারের নির্বাচনে এই নগরের ৫৭টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৪৬৩ জন। তাদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ৫ লাখ ৯২ হাজার ৭৪৭ জন, নারী ভোটার ৫ লাখ ৮৬ হাজার ৬৯৮ জন ও তৃতীয় লিঙ্গের (হিজড়া) ভোটার আছেন ১৮ জন। ৪৮০টি ভোটকেন্দ্রে ভোটগ্রহণ চলছে। এর আগে ২৪ মে রাতের মধ্যে ১০ হাজার ৯৭১ জন ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা নির্বাচনের সামগ্রী বুঝে নিয়েছেন।

এমএইচএন/এনএফ