নির্ধারিত পরিমাণের চেয়ে বেশি সৌদি রিয়াল রাখায় বাংলাদেশি হজ এজেন্সির দুই মালিককে সৌদি আরবে আটক করা হয়েছে। তারা দুজন বাংলাদেশের তিনটি এজেন্সির মালিক। তাদের অধীনে ৮২৩ হজযাত্রীর ফ্লাইট আগামী ১ জুন থেকে শুরু হওয়ার কথা।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আবুল কাশেম মুহাম্মদ শাহীন তাদের আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আটককৃতরা হলেন- কোবা এয়ার ইন্ট্যারন্যাশনালের মালিক মো. মাহমুদুর রহমান এবং তার ছেলে ইউরো ও আহসানিয়া হজ মিশনের মালিক সাদ বিন মাহমুদ। তাদের এই তিন এজেন্সির অধীনে ৮২৩ হজযাত্রী রয়েছেন।

মালিক আটক হওয়ায় হজযাত্রা নিয়ে অনিশ্চয়তায় পড়েছেন এসব হজযাত্রীরা। তবে হজ এজেন্সি অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের (হাব) মধ্যস্থতায় এ সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে।

শুক্রবার এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাব সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম বলেন, ওই তিন এজেন্সির হজযাত্রীদের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। হাব এ সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছে। আশা করি ১ জুনের আগেই সমাধান হয়ে যাবে।

জানা গেছে, আটক হওয়া এজেন্সির মালিক ও তার ছেলে তিনটি এজেন্সির হজযাত্রীদের সৌদি আরবে পাঠানোর জন্য কাজ করছিলেন। তাদের আটকের ফলে সৌদি আরবে সেখানকার প্রস্তুতিমূলক কাজে সমস্যা দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় ৮২৩ হজযাত্রীর বিমান টিকিট সংগ্রহের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদানসহ ফ্লাইটের তারিখ ১০ দিন পিছিয়ে দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।

এদিকে, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় সৌদি যাওয়া হজযাত্রীদের বিড়ম্বনার অভিযোগে ৮টি হজ এজেন্সিকে শোকজ করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। শোকজে বলা হয়, গত ২১ মে ৮টি এজেন্সির হজযাত্রী মক্কায় আসেন। এসব এজেন্সি হজযাত্রীদের ভিসায় যে হোটেলের ঠিকানা রয়েছে সেই হোটেলে না উঠিয়ে মক্কার বিভিন্ন ফিতরা করা হোটেলে উঠায়। ফলে হজযাত্রীদের নানা বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ৮ হজ এজেন্সিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে এবার হজ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৭ জুন (৯ জিলহজ)। বাংলাদেশ থেকে হজযাত্রীদের নিয়ে সৌদি আরবে যাত্রা শুরু হয় ২১ মে। হজ শেষে সৌদি আরবে থেকে শেষ ফ্লাইট ছাড়বে ২২ জুন।

এ বছর বাংলাদেশ থেকে সরকারি-বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় মোট ১ লাখ ২২ হাজার ২২১ জন হজ পালনের জন্য সৌদি আরবে যাচ্ছেন। এর মধ্যে মোট যাত্রীর অর্ধেক ৬১ হাজার ১১১ জন হজযাত্রী পরিবহন করবে বাংলাদেশ বিমান। বাকি হজযাত্রী পরিবহন করবে সৌদি এয়ারলাইন্স ও ফ্লাই নাস।

এনএম/ওএফ