নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন 'জামায়াতুল মুজাহেদীন বাংলাদেশ' (জেএমবি) এর সক্রিয় এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিট (এটিইউ)।

তার নাম মো. আনারুল ইসলাম (৩০)। সে নীলফামারী সদরের সুটিপাড়া ফুলতলার মফিজ উদ্দিনের ছেলে।

এটিইউ এর একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার (২৬ মে) রাতে আশুলিয়া থানাধীন জিরাবো ম্যাগপাই বাসস্ট্যান্ড থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।

এটিইউ সদর দপ্তরের পুলিশ সুপার (মিডিয়া অ্যান্ড অ্যাওয়ারনেস উইং) মোহাম্মদ আসলাম খান জানান, ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানাধীন বিভিন্ন কারখানায় ওয়েলডিং মিস্ত্রি হিসেবে গত দেড় বছর নাম পরিচয় গোপন করে পলাতক থেকে সাংগঠনিক কাজ করে আসছিল আনারুল।

সে দীর্ঘ প্রায় আট বছর ধরে অর্থাৎ ২০১৫ সাল থেকে নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জেএমবি'র সদস্য হয়ে সাংগঠনিক কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল।

জিজ্ঞাসাবাদে সে আরও জানায়, প্রথমে সে হানাফি মাজহাবের তরিকায় নামাজ পড়ত, পরে মাজহাব পরিবর্তন করে আহলে হাদিসের তরিকায় নামাজ পড়া শুরু করে। তখন নীলফামারী ইপিজেড এলাকায় চাকরি করার সময় জেএমবি সদস্য আহিদুলের সঙ্গে তার পরিচয় হয় এবং পরে তার মাধ্যমে সে জেএমবিতে দীক্ষিত হয়। 

গ্রেপ্তার আনারুল নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জেএমবি'র সক্রিয় সদস্য হয়ে সংগঠনকে সমর্থন, চাঁদা প্রদান, পরিকল্পনা, প্ররোচনায় সহায়তা  করে আসছিল।

আনারুল জেএমবি'র সদস্যপদ গ্রহণ করে তার সহযোগীদের সঙ্গে পরস্পর যোগসাজশে, সহায়তায় সমর্থন দিয়ে সংঘবদ্ধভাবে বাংলাদেশের অখণ্ডতা, সংহতি ও জননিরাপত্তা বিপন্ন করার জন্য এবং জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি, প্রজাতন্ত্রের সম্পত্তির ক্ষতিসাধন ও ধর্মীয় উগ্রবাদ মতাদর্শ প্রচার করে নাশকতামূলক কার্যক্রমে উস্কানি দিয়ে আসছিল।

গ্রেপ্তার আনারুল ইসলাম নীলফামারী সদর থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দায়ের করা মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি।

২০২১ এবং ২০২২ সালে নীলফামারী সদর থানাধীন ইপিজেড এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান পরিচালনার সময় তার সহযোগী জেএমবি সদস্য আহিদুল, নুর আমীন, ওয়াহিদ, আপেলসহ বেশ কয়েকজন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী হাতে গ্রেপ্তার হয়। 

এ সময় জেএমবি সদস্য হিসেবে আনারুলের নাম প্রকাশ পেলে সে সেখান থেকে কৌশলে পালিয়ে ঢাকায় চলে আসে। তারপর থেকে সে ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানাধীন বিভিন্ন এলাকায় পলাতক থেকে সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল।

বাংলাদেশের নিরাপত্তা, সংহতি ও সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করার উদ্দেশ্যে নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠনের সদস্যপদ গ্রহণ ও সমর্থন, অপরাধ সংগঠনের ষড়যন্ত্র এবং অন্যান্যদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে প্ররোচিত করায় তার বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় নতুন একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

জেইউ/জেডএস