বাংলাদেশকে করোনার ৩০ লাখ ডোজ টিকা দেবে ফাইজার। এসব টিকা বুস্টার ডোজ হিসেবে দেশের মানুষকে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

সোমবার (২৯ মে) দুপুরে সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান। 

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা ফাইজার থেকে ৩০ লাখ ডোজ টিকা পেয়েছি। তৃতীয় ও চতুর্থ ডোজ তথা বুস্টার ডোজ হিসেবে দেব। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং দেশীয় প্রতিষ্ঠানের এই টিকার অনুমোদন রয়েছে। ট্রায়ালের কাজ শেষ করেছি। কোনো সমস্যা দেখা দেয়নি। 

তিনি বলেন, ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে যারা আছেন, তারা তৃতীয় ডোজ পাবে। এবং চতুর্থ ডোজে ক্রাইটেরিয়া আমরা করেছি, তার মধ্যে ষাটোর্ধ্ব যারা জনগোষ্ঠী, তাদেরকে দেওয়া হবে এই টিকা। যারা দীর্ঘমেয়াদি রোগী, তাদেরকে এই টিকা এবং যারা ১৮ বছরের উপরে রয়েছেন, ক্রনিক অসুস্থ তাদেরকে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে, যাদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেছে, এই টিকা দেওয়া হবে চতুর্থ ডোজ হিসেবে। এছাড়া গর্ভবতী এবং সম্মুখসারির যোদ্ধা যারা পায়নি চতুর্থ ডোজ তাদেরকে এই টিকা দেওয়া হবে।

মন্ত্রী বলেন, আমরা টিকাটি যাতে সফলতার সঙ্গে দিতে পারি এবং যারা টিকা নেয়নি, তারা যেন টিকাটি নিয়ে নিজেরা সুরক্ষিত থাকে এবং তাদের পরিবারকেও সুরক্ষিত রাখে সে উদ্যোগ নিয়েছি।

টিকা নিয়ে নিজেকে এবং নিজের পরিবারকে সুরক্ষিত রাখার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, টিকা নিয়েছে বলে করোনা মারাত্মক আকার ধারণ করছে না। আমাদের মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা উচিত।

কবে থেকে এ টিকা দেওয়া হবে- জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, আজকে সংবাদ সম্মেলন করে জানান দিলাম। এই সপ্তাহ থেকে শুরু হয়ে যাবে। আমরা এরইমধ্যে টিকা ট্রায়ালের সম্পন্ন করেছি। ইমেডিয়েটলি দেওয়া হবে।

এখন যেহেতু লোকের সংখ্যা কম, কেউ টিকা কেন্দ্র গেলেই আমরা দিয়ে দিই, বলেন তিনি।

করোনা সংক্রমণ বাড়লেও আশঙ্কা নেই : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ইদানিং বাড়লেও আশঙ্কা নেই বলেও জানান মন্ত্রী।

তিনি বলেন, আমি জেনেভা থেকে এসেছি। সেখানে দেখলাম একটি লোকও মাস্ক পরেনি। সেখানে যে রোগী হচ্ছে না দু'একটি করে তা নয়। আমাদের এখানেও দু'একটি করে রোগী পাচ্ছি। ইদানিং কিছু বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু হাসপাতালে তেমন কোনো রোগী নেই। যেহেতু টিকা সবাই নিয়েছে সেজন্য মারাত্মক আকার ধারণ করছে না করোনা।

তিনি আরও বলেন, কিন্তু আমরা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলব, করোনা যেহেতু আছে আমাদের সতর্ক থাকাটা ভালো। যেখানে বেশি লোকের সমাগম হয় সেখানে মাস্ক পরতে পারলে ভালো। করোনা মোকাবিলার জন্য যেসব অভিজ্ঞতা আমরা সঞ্চয় করেছি, সেগুলো আমাদের মনে রাখা উচিত।

এসএইচআর/জেডএস