ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সেলিম রেজা বলেছেন, শুধু সিটি কর্পোরেশন একা নয় বরং ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সবার সচেতনতা প্রয়োজন। জনগণ সচেতন না হলে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। 

সোমবার (২৯ মে) গুলশান-২ এ বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমদ পার্কে সপ্তাহব্যাপী বিশেষ মশক নিধন অভিযান উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।

সেলিম রেজা বলেন, আমরা নিজেরাই এডিস মশার লার্ভার প্রজনন ক্ষেত্র তৈরি করি। বাসা বাড়িতে ও ছাদবাগানে পানি জমিয়ে রেখে লার্ভা সৃষ্টি করছি। সিটি কর্পোরেশনের কর্মীদের পক্ষে বাড়িতে বাড়িতে ঢুকে এসব লার্ভা ধ্বংস করা সম্ভব হয় না। ডেঙ্গুর বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।

তিনি বলেন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলামের নির্দেশনায় বর্ষা মৌসুমের শুরুতেই আমরা নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। ডিএনসিসির প্রতিটি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে আজ থেকে সপ্তাহব্যাপী বিশেষ মশক নিধন অভিযান চলবে। মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এই অভিযানে ব্যাপক প্রচারণা চালানো হবে। আমাদের মশক নিধন কর্মীদের পাশাপাশি আগামীকাল (মঙ্গলবার) থেকে বাংলাদেশ স্কাউট ও বিএনসিসির সদস্যরাও মাঠে নামবে।

সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে সেলিম রেজা বলেন, ডেঙ্গুর প্রকোপ রোধে জনগণকে সচেতন ও সম্পৃক্ত করতে আমরা ডিএনসিসির কাউন্সিলর এবং কর্মকর্তাদের পাশাপাশি বিএনসিসি ও স্কাউটকে যুক্ত করেছি। ডিএনসিসির বিভিন্ন অঞ্চলে ৪০০ মিটার × ৪০০ মিটার গ্রিডে ভাগ করে এই সচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। আমি বিশ্বাস করি জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে পারলে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হবে।

ব্যাপক প্রচারণা কার্যক্রম পরিচালনার পাশাপাশি ডিএনসিসির ম্যাজিস্ট্রেটরা মাঠে থাকবেন এবং লার্ভা পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

সপ্তাহব্যাপী বিশেষ মশক নিধন অভিযান কর্মসূচির উদ্বোধনে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জোবায়দুর রহমান, অঞ্চল-৩ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জুলকার নায়ন ও ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. মফিজুর রহমান। 

এএসএস/কেএ