শিশুরা আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম। শিশুদের জন্য উপযোগী করে মানবাধিকারের বিষয়গুলো পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন। এর ফলে তাদের মধ্যে মানবিক গুণাবলি তৈরি হবে। সমাজে ধীরে ধীরে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে। তাদেরকে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী যেমন তৃতীয় লিঙ্গ ও প্রতিবন্ধীসহ অন্যান্যদের সম্পর্কে অনেক বেশি জানাতে হবে। তাদেরকে জানাতে হবে আমরা সবাই মানুষ এবং সবার সমান অধিকার রয়েছে।

সোমবার (২৯ মে) দুপুরে সিরডাপ মিলনায়তনে জার্মান সংস্থা নেটজ’র আয়োজনে ‘এডুকেটিং কনফ্লিক্ট সেনসিভিটি অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস ইন হাই স্কুল: গ্যাপস অ্যান্ড ওয়ে ফরোয়ার্ড’ শীর্ষক জাতীয় সেমিনারে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন এ কথা বলেন। 

তিনি বলেন, বর্তমান বিশ্বে ইনফরমেশন সুপার হাইওয়েতে সব কিছু উন্মুক্ত। জ্ঞানের বিস্তৃতির কোনও সীমা নেই। আমাদের শিশুদের বোঝাতে হবে এই ইনফরমেশন সুপার হাইওয়েতে কোনটি ভালো আর কোনটি খারাপ। এতে সে খারাপ কিছু গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকবে। তাদেরকে মুক্তিযুদ্ধ ও সংবিধান সম্পর্কে জানাতে হবে।  

সেমিনারে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির পাঠ্যপুস্তকে মানবাধিকার সচেতনতার বিষয়টি কীভাবে আছে তা নিয়ে গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন সোহরাব উদ্দিন মণ্ডল এবং আফসানা বিনতে আমিন। 

প্যানেল আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন শিক্ষাবিদ অধ্যাপক এ এন রাশেদা, অধ্যাপক ড সন্তোষ কুমার ঢালী, শিল্পী রানী সাহা, প্রভাষক ও তপন কুমার দাস।

জেইউ/কেএ