ফেসবুকে অন্যের নামে আইডি খুলে ও আপত্তিকর ছবি পাঠিয়ে ব্ল্যাকমেইল করার অভিযোগে এক প্রতারককে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ।

গ্রেপ্তার হওয়া ওই প্রতারকের নাম মো. আবু বকর সিদ্দিক। গ্রেপ্তারের সময় তার কাছ থেকে ব্ল্যাকমেইলিংয়ে ব্যবহৃত একটি মোবাইল ফোন ও তিনটি সিমকার্ড জব্দ করা হয়।

মঙ্গলবার (৩০ মে) ডিবি সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের অর্গানাইজড ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিমের টিম লিডার অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. নাজমুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, মুন্না নামে এক ফেসবুক ব্যবহারকারী দেখতে পান, কেউ তার নাম ব্যবহার করে ফেক আইডি খুলেছে। সেই আইডিতে মুন্না ও তার স্ত্রীর ছবি দেওয়া। এরপর ওই আইডিতে মুন্না এবং তার স্ত্রীর আপত্তিকর ও ব্যক্তিগত ছবি পর্যায়ক্রমে আপলোড করা হয়। পরে ম্যাসেঞ্জারের মাধ্যমে তাদের আত্মীয়-স্বজনকে পাঠিয়ে ব্ল্যাকমেইলিং শুরু করে। এরপর ভুক্তভোগী বাদী হয়ে শ্যামপুর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।

এরপর মামলাটির তদন্ত শুরু করে অর্গানাইজড ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিম। প্রথমে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় এক প্রতারককে চিহ্নিত করে তার অবস্থান শনাক্ত করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার ( ২৯ মে) রাজধানীর কোতয়ালী থানা এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে আবু বকর সিদ্দিককে গ্রেপ্তার করা হয়। 

অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. নাজমুল হক বলেন, আবু বকর সিদ্দিক কৌশলে ভুক্তভোগীদের বিভিন্ন আপত্তিকর, অশ্লীল ও ব্যক্তিগত ছবি সংগ্রহ করত। এরপর ভুক্তভোগীদের ছবি ও নাম ব্যবহার করে ফেসবুকে ফেক আইডি খুলে তাদের আত্মীয়-স্বজনকে এসব ছবি পাঠিয়ে ব্ল্যাকমেইল করত। গ্রেপ্তার আবু বকরকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

এরকম ব্ল্যাকমেইলিং এড়াতে গোয়েন্দা সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের পরামর্শ :

১. অনলাইনে নিজের ব্যক্তিগত ছবি বা ভিডিও অপরিচিত কাউকে না পাঠানো।

২. অন্য কেউ বিশেষ মুহূর্তের বিষয়টি ক্যামেরাবন্দি করতে চাইলে এড়িয়ে যেতে হবে।

৩. নিজের ডিভাইসে ব্যক্তিগত মুহূর্তের ছবি সংরক্ষণের ক্ষেত্রে শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা।

এমএসি/কেএ