ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, অভিযানের সময় আমাকে অনেকে ফোন করে বলেন, আমি ভুলে গেছি জমা পানি ফেলে দিতে। ভুলে গেলে চলবে না। ঘরে বাইরে সবাইকে সচেতন হতে হবে। সম্প্রতি এক বাসায় এডিসের লার্ভা পাওয়ায় জরিমানা করা হয়। যার বাসায় জরিমানা করা হয়, তিনি আমাকে ফোন দিয়ে জরিমানা না করার জন্য বলেন। এমন অনেকে অভিযানের সময় আমাকে ফোন করে, জরিমানা না করতে বলেন।

তিনি আরও বলেন, এখন কথা হচ্ছে একজনের ঘরে জন্মানো এডিস মশায় আরেক ঘরের শিশু, বৃদ্ধসহ কোনো মানুষ অসুস্থ হলে দায় কার? অতএব যার যার বাড়ি তাকেই দায়িত্ব নিতে হবে।

বুধবার (৩১ মে) রাজধানীর কাওলা মধ্যপাড়া প্রধান সড়ক এলাকায় ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সচেতনতা প্রচারাভিযানে তিনি এসব কথা বলেন।

আতিকুল ইসলাম বলেন, ডেঙ্গুর প্রকোপ ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত এলার্মিং। এটির জন্য নগরবাসীকে এগিয়ে আসতে হবে, সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। আমাদের বাসা বাড়িতে কোন পাত্রে পানি জমতে দেওয়া যাবে না। আমাদের ঘরের আশেপাশে দুই বাড়ির মাঝখানের ফাকা জায়গা পরিষ্কার রাখতে হবে, ছাদ পরিষ্কার রাখতে হবে। আমাদের এই অভিযান চলমান। বিশেষ করে নির্মাণাধীন ভবনে জমা পানি পেলে সেখানে আমরা অভিযান করে আইন অনুযায়ী ফাইন করবো।

এবার বর্ষা মৌসুমের শুরুতেই ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে উল্লেখ করে মেয়র বলেন, কিউলেক্স ও এডিস সব ধরনের মশার উপদ্রব কমাতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। সবাইকে সচেতন হতে হবে। এই সময় কোন পাত্রে কোন ধরনের পানি জমিয়ে রাখা যাবে না। আপনারা দেখেছেন আমাদের মশক কর্মীদের পাশাপাশি বাংলাদেশ স্কাউট ও ন্যাশনাল ক্যাডেট কোররা বিভিন্ন বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে তারা লিফলেট দিচ্ছে, স্কুলে যাচ্ছে, কলেজে যাচ্ছে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য। আমি সবাইকে অনুরোধ করছি তাদের কাজে সাহায্য করুন। তিন দিনে একদিন জমা পানি ফেলে দিন এটি সকলের মাথার মধ্যে ঢুকাতে হবে।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা-১৮ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ হাবিব হাসান, ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জোবায়দুর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহ. আমিরুল ইসলাম, অঞ্চল ৭ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা সাজিয়া আফরীন, ৪৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আনিছুর রহমান নাঈম, ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জয়নাল আবেদীন প্রমুখ।

এএসএস/এসকেডি