প্লাস্টিকের ব্যবহার কমাতে বিকল্প পণ্য সহজলভ্য করার আহ্বান
প্লাস্টিকের ব্যবহার কমাতে ও নিয়ন্ত্রণে আনতে বিকল্প পণ্য তৈরি ও সহজলভ্য করার আহ্বান জানিয়েছেন পরিবেশবিদ ও গবেষকরা।
সোমবার (৫ জুন) প্রেস ক্লাবে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষ্যে অ্যাসোসিয়েশন অব অব ডেভেলপমেন্ট এজেন্সিস ইন বাংলাদেশ (এডাব) এর উদ্যোগে আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে এ আহ্বান জানান তারা।
বিজ্ঞাপন
'প্লাস্টিক দূষণের সমাধান করি, বসবাসযোগ্য পরিবেশ গড়ি'- এই স্লোগানে বৈঠকে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করে এডাবের কর্মসূচি পরিচালক কাউসার আলম কনক বলেন, বিশ্বজুড়ে প্রতি মিনিটে ১ মিলিয়ন প্লাস্টিকের বোতল ক্রয়-বিক্রয় হয়। আর প্রতি বছর ৫ ট্রিলিয়ন প্লাস্টিকের ব্যাগ ব্যবহৃত হয়। এর মধ্যে অর্ধেক প্লাস্টিকই একবার ব্যবহারযোগ্য, যার ৮৫ শতাংশই অপচনশীল বর্জ্য হিসেবে ছড়িয়ে পড়ছে। সারা বিশ্বে এ পর্যন্ত ৭ বিলিয়ন টন প্লাস্টিক বর্জ্যের ১০ শতাংশেরও কম পুনরায় ব্যবহৃত হয়। প্লাস্টিকের মাইক্রো অংশ মানুষের শরীরে প্রবেশ করে নানা ক্ষতিক্ষর প্রভাব ফেলছে। তাই প্লাস্টিকের ব্যবহার কমাতে হবে এবং পরিবেশসম্মত বিকল্প পণ্যের ব্যবহার বাড়াতে হবে।
পরিবেশ দূষণ রোধে এডাবের প্রস্তাবনাগুলো হলো- সরকারি নিষেধাজ্ঞার অপ্রয়োজনীয় প্লাস্টিক পণ্য বর্জন করা, প্লাস্টিক পণ্য পুনর্ব্যবহার করে বিদ্যুৎ ও কম্পোস্ট তৈরি, সৌর ও বায়ুতে বিনিয়োগের মাধ্যমে জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরতা কমানো এবং পরিবেশ দূষণ রোধে নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা।
পরিবেশ সাংবাদিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক হাসান হাফিজ বলেন, দেশের রাজনৈতিক পরিবেশ যেমন ভালো না, তেমনি আমাদের পরিবেশের অবস্থাও ভালো না। আমাদের আন্তর্জাতিক পরিবেশ গবেষক আছেন। সবাই মিলে আমরা যদি নিজেদের অর্থায়নে একটি কমিশন করি, যেখানে সব রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরাও থাকবেন, তাহলে ভালো ফল আসতে পারে। পাশাপাশি পরিবেশ রক্ষায় সবার মধ্যে সচেতনতা তৈরি করতে হবে।
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন এডাবের চেয়ারপারসন আব্দুল মতিন, কোস্ট ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক রেজাউল করিম চৌধুরী, লেখক ও সাংবাদিক শামীমা চৌধুরীসহ অন্যরা।
ওএফএ/জেডএস