পাকিস্তানের ইসলামাবাদে বাংলাদেশ হাইকমিশন অত্যন্ত সাড়ম্বর ও জাঁকজমকপূর্ণ পরিবেশে ‘বাংলাদেশ উৎসব’ আয়োজনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জুলিও কুরি শান্তি পদক প্রাপ্তির সুবর্ণজয়ন্তী, বাংলা নববর্ষ-১৪৩০ এবং রবীন্দ্র-নজরুলজয়ন্তী উদযাপন করেছে।

মঙ্গলবার (৬ জুন) ইসলামাবাদের বাংলাদেশ হাইকমিশন থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

হাইকমিশন জানায়, গত ৩ জুন বাংলাদেশ হাইকমিশন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জুলিও কুরি শান্তি পদক প্রাপ্তির সুবর্ণজয়ন্তী, বাংলা নববর্ষ-১৪৩০ এবং রবীন্দ্র-নজরুল জয়ন্তী উদযাপন করে। সম্পূর্ণ বাঙ্গালি ধারায় আমন্ত্রিত অতিথিদের সম্ভাষণ, বঙ্গবন্ধু ও বিশ্ব শান্তি প্যাভিলিয়ন, ক্রীড়া অনুষ্ঠান, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং হরেক রকম সুস্বাদু বাংলাদেশি খাবার দিয়ে আপ্যায়ন ছিল উৎসবের মূল আকর্ষণ।

বাংলাদেশের হাইকমিশনার রুহুল আলম সিদ্দিকী ‘বঙ্গবন্ধু ও বিশ্ব শান্তি প্যাভিলিয়ন’ উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে উৎসবের শুভ সূচনা হয়। প্যাভিলিয়নে বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’র বাংলা, ইংরেজি ও উর্দু সংস্করণ, কারাগারের রোজনামচাসহ বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত জীবনের ওপর বই, আলোকচিত্র ও পোস্টার প্রদর্শন করা হয়।

হাইকমিশনার আমন্ত্রিত অতিথিদের বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে স্বাগত বক্তব্যে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ব শান্তির ক্ষেত্রে প্রশংসনীয় অবদানের জন্য বিশ্ব শান্তি পরিষদের সর্বোচ্চ সম্মান জুলিও কুরি শান্তি পদকে ভূষিত হয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর জুলিও কুরি পদকপ্রাপ্তি শুধু বিশ্বের প্রথম সারির নেতৃত্বের কাতারেই অধিষ্ঠিত করে নাই, বিশ্ববাসীর চোখে তাকে হিমালয়সম উচ্চতায় অধিষ্ঠিত করেছে এবং বাঙালি জাতিকে করেছে গৌরবান্বিত।

হাইকমিশনার বলেন, পয়লা বৈশাখ বাঙালির সম্প্রীতি ও মহামিলনের দিন। এদিন ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সমগ্র জাতি জেগে ওঠে নবপ্রাণে নব অঙ্গীকারে।

কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কর্মময় জীবনের ওপর আলোচনায় হাইকমিশনার বলেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আমাদের জাতীয় সংগীতের রচয়িতা এবং কাজী নজরুল ইসলাম ছিলেন ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অধীন অবিভক্ত ভারতের বিদ্রোহী কবি।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি মানকি শরীফের পীরের পুত্র পীরজাদা মুহাম্মদ আমিন বলেন, বঙ্গবন্ধু শুধু বাংলাদেশের জাতির পিতা ছিলেন না, তিনি সারাবিশ্বের নিপীড়িত, নির্যাতিত, মুক্তিকামী মানুষের নেতা ছিলেন।

এনআই/এমজে