নাম মো. হেলাল উদ্দিন (৩৫)। তবে নিজের প্রকৃত পরিচয় গোপন করে জাহাঙ্গীর আলম নামের এক বাল্যবন্ধুর শিক্ষাগত সনদপত্র, জন্মসনদ এবং বায়োডাটা কৌশলে সংগ্রহ করে সেখানে নিজের ছবি যুক্ত করেন। পরে তিনি হেলাল পরিচয়ে তানজিম প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেডের সেলস অফিসার পদে নিয়োগও পান। এরপর প্রতিষ্ঠানটির ১৯ লাখ ২১ হাজার ৫০০ টাকা আত্মসাৎ করে পালিয়ে যান তিনি।

গতকাল বুধবার রাতে রাজধানীর সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল এলাকা থেকে প্রতারক হেলাল উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

বৃহস্পতিবার (৮ জুন) দুপুরে পিবিআইয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) আবু ইউসুফ জানান, ২০১৮ সাল থেকে ২০২১ সালের ৯ মে পর্যন্ত তানজিম প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেড কোম্পানিতে অফিসার (সেলস অ্যান্ড বিপণন) পদে কর্মরত ছিলেন হেলাল উদ্দিন।

এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় তানজিম প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ গোলাম হোসেন ২০২১ সালে মামলা করেন।

পিবিআই মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পাওয়ার পর দেখা যায়, যার কাগজপত্র ব্যবহার করা হয়েছে তিনি প্রকৃতপক্ষে জাহাঙ্গীর আলম এবং হেলাল উদ্দিনের স্কুল জীবনের সহপাঠী। তিনি বর্তমানে ভোলার চর মোতাহার আলিম মাদ্রাসায় ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারী পদে চাকরি করছেন। 

তারা পাশাপাশি এলাকায় বসবাস করার সুবাদে কৌশলে হেলাল উদ্দিন তার বন্ধু জাহাঙ্গীর আলমের অজ্ঞাতে তার শিক্ষাগত সনদপত্র, জন্ম সনদ, ইউনিয়ন পরিষদের সনদপত্র ও বায়োডাটার ফটোকপি সংগ্রহ করে রাখেন। সেই কাগজ দিয়ে প্রথমে সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজে এবং পরে তানজিম প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং কোম্পানিসহ বিভিন্ন কোম্পানিতে চাকরি করেন।

তার বিরুদ্ধে ভুয়া কাগজপত্র দিয়ে চাকরি করে প্রতারণা ও বিশ্বাস ভঙ্গের মাধ্যমে টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বুধবার (৭ জুন) রাজধানীর সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন।

জেইউ/এমএ