ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ উন্নয়নের চাবিকাঠি। যথাযথভাবে পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে আগামী এক দশকের মধ্যেই বাংলাদেশের উন্নয়নের বিষয়টি আরও স্পষ্ট হবে। শতবর্ষের এ মহাপরিকল্পনার প্রথম ধাপ ২০৩০ সালের মধ্যে বাস্তবায়ন করা হবে বলে মন্তব্য করেন পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক।

রোববার (১১ জুন) রাজধানীর পানি ভবনের সম্মেলনকক্ষে ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ বাস্তবায়ন বিষয়ক এক সেমিনারে ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের কোনো ভূমিকা না থাকা সত্ত্বেও আমরা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর অন্যতম। জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকি মোকাবিলায় সরকার পানি অবকাঠামো সংস্কার, নদীর তীর সংরক্ষণ, নদীর নাব্য রক্ষায় ড্রেজিং, খাল পুনঃখনন, প্রাকৃতিক জলাধার রক্ষণাবেক্ষণ এবং নতুন জলাধার ও ব্যারেজ নির্মাণের কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। একইসঙ্গে নদীর তীরবর্তী ভূমি পুনরুদ্ধার করে বনায়ন, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ এবং জলাবদ্ধতা দূর করতে জনসচেতনতা বৃদ্ধির কার্যক্রম অব্যাহত আছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বাসযোগ্য বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের প্রথম শতবর্ষ মহাপরিকল্পনা ‘বাংলাদেশ বদ্বীপ পরিকল্পনা-২১০০’  অনুমোদন করেছেন। এ প্ল্যানের মূল উদ্দেশ্য হলো ২০৩০ সালের মধ্যে চরম দারিদ্র্য নির্মূল ও মধ্যম আয়ের দেশে উত্তরণ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত হওয়া। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড এ মহাপরিকল্পনার ছয়টি অভীষ্ট অর্জনে ‘ফ্লেক্সিবল ও অ্যাডাপ্টিভ অ্যাপ্রোচ’ অনুসরণ করে নিরলসভাবে প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম বলেন, একটি রাষ্ট্রের উন্নয়ন পরিকল্পিত পরিকল্পনার মাধ্যমে বাস্তবায়ন সম্ভব। বাংলাদেশে ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ মহাপরিকল্পনার মাধ্যমে যেটি স্পষ্ট তা হলো, বাংলাদেশ এখন দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার মাধ্যমে বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠছে। বাংলাদেশ পৃথিবীর সর্ববৃহৎ বদ্বীপ অঞ্চল ও নদীমাতৃক দেশ হিসেবে নদী ব্যবস্থাপনা ও এর উন্নয়নের ওপর দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন নির্ভর করছে। এই বাস্তবতা অনুধাবন করে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বদ্বীপ পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছেন।

এআর/এসএসএইচ/