সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, ব্যক্তিজীবন থেকে শুরু করে সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনে আর্কাইভসের গুরুত্ব অপরিসীম। আর্কাইভসের বিষয়ে সার্টিফিকেট কোর্স চালুসহ আরও বেশি করে সভা, সেমিনার এবং ওয়ার্কশপের আয়োজন করতে হবে ও এগুলোর বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে। যেন সর্বস্তরের জনসাধারণের মাঝে আর্কাইভসের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি পায়। জনসাধারণকে ‍‍আর্কাইভসের গুরুত্ব সম্পর্কে আরও সচেতন করতে হবে।

সোমবার (১২ জুন) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে জাতীয় গ্রন্থাগার মিলনায়তনে ‘আন্তর্জাতিক আরকাইভস সপ্তাহ ২০২৩’ উদযাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন। 

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, আর্কাইভস ও রেকর্ড সংরক্ষণের গুরুত্ব বিবেচনা করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে আর্কাইভস ও গ্রন্থাগার পরিদপ্তর প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে এটি পূর্ণাঙ্গ অধিদপ্তরের মর্যাদা পেয়েছে। পরবর্তী সময়ে বর্তমান আর্কাইভস ভবনের নকশা চূড়ান্ত করেন বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার আর্কাইভসের গুরুত্ব সম্পর্কে সম্পূর্ণ ওয়াকিবহাল। সেজন্য জাতীয় আর্কাইভস অধ্যাদেশ ১৯৮৩ রহিত করে আধুনিক ও যুগোপযোগী বাংলাদেশ জাতীয় আরকাইভস আইন ২০২১ প্রণয়ন করেছে। বর্তমানে আর্কাইভসের ডিজিটালাইজেশন কার্যক্রম এগিয়ে চলছে। সেই লক্ষ্যে একটি প্রকল্পের কার্যক্রম চলমান। 

কে এম খালিদ বলেন, মানবতাবিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ সংক্রান্ত বিচার কার্যক্রমের অনেক তথ্য জাতীয় আর্কাইভস থেকে সংগ্রহ করেছে। এ থেকে আর্কাইভসের গুরুত্ব সম্পর্কে অনুধাবন করা যায়।

আর্কাইভস ও গ্রন্থাগার অধিদপ্তরের মহাপরিচালক গৌতম কুমারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিল আহমদ। 

সংস্কৃতি সচিব খলিল আহমদ বলেন, আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি কোম্পানি গুগলে যিনি সংরক্ষণ বা আর্কাইভের দায়িত্বে থাকেন তার বেতন সর্বোচ্চ। একইভাবে যুক্তরাষ্ট্রের তৃতীয় গুরুত্বপূর্ণ সেক্টর হচ্ছে আর্কাইভস। এসব বিষয় আমাদেরকে বহির্বিশ্বে আর্কাইভসের গুরুত্ব সম্পর্কে ধারণা দেয়। সচিব এসময় দেশের আর্কাইভসের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধিতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য আর্কাইভস ও গ্রন্থাগার অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে আহ্বান জানান।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ আর্কাইভস অ্যান্ড রেকর্ডস ম্যানেজমেন্ট সোসাইটির (বারমস) সভাপতি এবং নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস ও দর্শন বিভাগের অধ্যাপক ড. শরীফ উদ্দিন আহমেদ। 

প্রবন্ধের ওপর আলোচনা করেন বাংলাদেশ আর্কাইভস অ্যান্ড রেকর্ডস ম্যানেজমেন্ট সোসাইটির (বারমস) সেক্রেটারি ও সাবেক অতিরিক্ত সচিব জালাল আহমেদ। শুভেচ্ছা রাখেন করেন আর্কাইভস ও গ্রন্থাগার অধিদপ্তরের পরিচালক (যুগ্মসচিব) এস এম আরশাদ ইমাম এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য বিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ড. মেসবাহ উল ইসলাম।

এমএম/কেএ