সাত-আট বছর আগে শহিদুলের সঙ্গে মোবাইলে পরিচয় হয় সালমার। এরপর চলে প্রেমের সম্পর্ক। শহিদুলের বিবাহিত স্ত্রী রয়েছে জানতে পেরে সালমা তাকে বিয়ে করতে চাপ দেন। কৌশলে তাকে ঢাকায় ডেকে এনে ধর্ষণের পর হত্যা করেন শহিদুল। এ ঘটনার পর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আসামি শহিদুলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (১৩ জুন) সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান এসব তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, গত ১১ জুন রাত ৮টার দিকে ৯৯৯ এর মাধ্যমে কেরাণীগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ সংবাদ পায় যে, কেরাণীগঞ্জ মডেল থানাধীন কোনাখোলা থেকে রুহিতপুরগামী মেইন রোডের উত্তর পাশে পূর্বাশুরস্থ তমা কনস্ট্রাকশনের পরিত্যক্ত জমির জঙ্গলের ভেতরে সালমার মরদেহ গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় পড়ে রয়েছে।

এসপি বলেন, ঘটনার একদিন আগে সালমা বরিশালে শহিদুলের গ্রামের বাড়িতে যায়। সালমা জানতে পারে, শহিদুল বিবাহিত এবং তার স্ত্রী গ্রামের বাড়িতে থাকে। এ কথা জানার পর শহিদুলকে ফোন করে প্রথম স্ত্রীকে তালাক দিয়ে তাকে বিয়ে করার জন্য চাপ প্রয়োগ করে সালমা। তারপর শহিদুল তাকে কৌশলে ঢাকায় আসতে বলে। ঢাকায় আসার পর শহিদুল ঘটনার দিন বিকেল পাঁচটায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সালমার সঙ্গে দেখা করে। ওই দিন রাত ১০টার পর ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে শহিদুল পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে সালমাকে কেরাণীগঞ্জে নিয়ে করে আসে।

আসাদুজ্জামান বলেন, শহিদুল জঙ্গলে নিয়ে প্রথমে সালমাকে ধর্ষণ করে। পরে সালমার সঙ্গে থাকা ওড়না দিয়ে শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যা করে। মরদেহ যাতে শনাক্ত করা না যায়, এজন্য ইটের টুকরো দিয়ে মুখ থেতলে চেহারা বিকৃত করে দেয়। এরপর শহিদুল পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে কেরাণীগঞ্জ মডেল থানায় হত্যা মামলা করা হয়। এ মামলার পর অভিযান চালিয়ে সোমবার (১২ জুন) নারায়ণগঞ্জ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এনআর/এসএসএইচ/