কোরবানির ঈদে দিন সন্ধ্যার মধ্যে পশুর বর্জ্য অপসারণের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। একইসঙ্গে এবারও নির্দিষ্ট স্থানে পশু কোরবানি দিতে হবে বলেও জানান তিনি।

বুধবার (১৪ জুন) সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে এক সভা সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, সাধারণত সন্ধ্যার মধ্যেই পশুর বর্জ্য অপসারণ করা হয়। এবারও সেই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া এবারও নির্দিষ্ট স্থানে পশু কোরবানি দিতে হবে। এটা অত্যন্ত দৃঢ়ভবে নিশ্চিত করার চেষ্টা করা হয়েছে, যাতে দূষণ না হয়।

মন্ত্রী বলেন, সুনির্দিষ্টস্থানে কোরবানি করার জন্য আমরা বেশকিছু পন্থা অবলম্বন করেছি। মানুষকে উদ্বুদ্ধ করা এবং সচেতন করার কাজগুলো করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, বর্জ্য ব্যবস্থার ক্ষেত্রে ভলান্টিয়ার এবং  জনগণকে উদ্বুদ্ধ করে একটি সামাজিক টিম গঠন করা হয়েছে। সিটি কর্পোরেশনের ওয়ার্ডগুলোতে একটা টিম গঠন করা হয়েছে। ওই টিমের মাধ্যমে এগুলো কালেকশন করা হবে। কিভাবে কোরবানি করা হবে এবং কোরবানির পর বর্জ্য অপসারণের বিষয়ে ইমাম সাহেবরা যেন মুসল্লিদের তা বলেন।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, নির্দিষ্ট স্থানে পশু কোরবানির জন্য সব স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। নির্দিষ্ট স্থানে পশুর হাট বসাতে হবে। যত্রতত্র পশুর হাট বসানো যাবে না। কারণ যত্রতত্র হাট বসালে জনগণের চলাচলে বিঘ্নিত হয়।

সারা দেশে কতগুলো হাট বসানো হবে- সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ সংখ্যাটা এখন আমরা বলতে পারব না। তবে প্রত্যেকটি ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পুলিশসহ সিটি কর্পোরেশনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। যেখানে হাট বসানো যৌক্তিক সেখানে বসানো হবে।

প্রতিবছর কোরবানির জন্য নির্দিষ্ট স্থানের কথা বলা হলেও এটি বাস্তবায়ন হয় না। এ বিষয়ে মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, আমার মনে হয় একেবারে হচ্ছে না, এটা বলা যাবে না।

মন্ত্রী বলেন, গত বছর সূর্যাস্ত যাওয়ার আগেই ঢাকা শহরের যত পশুর কোরবানি করা হয়েছে সেগুলোর বর্জ্য এবং রক্ত অপসারণ করা হয়েছে। বাংলাদেশে আগে এটা যত্রতত্র হতো। এখন কিন্তু এটা করা হয় না। অজোপাড়া গায়ের মানুষকেও সচেতন করা হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বারকেও আমরা দায়িত্ব দিয়েছি। 

আপনার প্রতি বছরই বলেন, যত্রতত্র হাট বসানো যাবে না। তারপরও বসানো হয়। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে মন্ত্রী বলেন, যে কোনো উৎসবে শুধু বাংলাদেশে নয়, সারা পৃথিবীতেই (সমস্যা হয়)।  চীনেও যদি যান সেখানে সব সুযোগ-সুবিধা আছে, তারপরও উৎসবের সময় দীর্ঘ জ্যাম হয়। নিউইয়র্কের কথা যদি বলেন বা অন্য যে কথাই বলেন না কেন, সব জায়গায় উৎসবের সময় একটু সমস্যা হয়।

তবে এ কথা ঠিক একেবারে শতভাগ নিশ্চিত করা যাচ্ছে, সেটা ঠিক নয়। আমরা যদি দায়িত্ব পালন না করতাম, সিটি কর্পোরেশনের মেয়রাসহ সরকারি কর্মকর্তারা যদি দায়িত্ব পালন না করতো, তাহলে হয়তো সেই শহরে বসবাস করার সুযোগ থাকত না।

এসএইচআর/এসএম/এফকে