আসন্ন ঢাকা-১৭ আসনে উপ-নির্বাচনের অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিচার বিভাগীয় ‘নির্বাচনী তদন্ত কমিটি’ গঠন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ কমিটি যেকোনো অনিয়মের তদন্ত সাপেক্ষে শাস্তি প্রদানে ইসির কাছে সুপারিশ করবে।

ইসির আইন শাখার উপ-সচিব মো. আব্দুছ সালাম এ তথ্য জানান। তিনি জানান, এ সংক্রান্ত একটি চিঠি আইন ও বিচার বিভাগের সচিবের কাছ পাঠানো হয়েছে।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে ৯১(এ) ধারার ক্ষমতাবলে নির্বাচন কমিশন, আইন ও বিচার বিভাগ, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শক্রমে একাদশ জাতীয় সংসদের শূন্য ঘোষিত ঢাকা-১৭ আসনের নির্বাচন উপলক্ষ্যে নির্বাচন-পূর্ব অনিয়ম প্রতিরোধে ও নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে নির্বাচনী তদন্ত কমিটি গঠন করা হলো। নির্বাচনী পূর্ব সময় বলতে তফসিল ঘোষণার পর থেকে ভোটের ফলাফল গেজেট আকারে প্রকাশ করার সময় পর্যন্ত বোঝায়। যুগ্ম-জেলা এবং একজন সিনিয়র সহকারী জজ বা সহকারী জজ-এর সমন্বয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানানো হয়।

রাজধানীর গুলশান, বনানী, ভাসানটেক থানা ও সেনানিবাস এলাকা নিয়ে জাতীয় সংসদের ঢাকা-১৭ আসন গঠিত। গত ১৫ মে চিত্রনায়ক আকবর হোসেন পাঠান (ফারুক) মারা যাওয়ার পর আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়। তফসিল অনুযায়ী, ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ১৫ জুন, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের তারিখ ১৮ জুন এবং প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২৫ জুন।

আগামী ১৭ জুলাই কাগজের ব্যালটে ভোট অনুষ্ঠিত হবে এ আসনে। ঢাকা-১৭ আসনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে দলের নেতা, ব্যবসায়ী, চিত্রনায়কসহ ২২ জন দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছিলেন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে ওই আসনে বিএনপি নেতা প্রয়াত হান্নান শাহকে হারিয়ে সংসদ সদস্য হয়েছিলেন জাতীয় পার্টির প্রয়াত চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ। ২০১৪ সালের নির্বাচনে ওই আসনে এরশাদের প্রার্থিতা বাতিল হয়। ওই নির্বাচনে ঢাকা-১৭ আসন থেকে নির্বাচিত হন বিএনএফের প্রধান আবুল কালাম আজাদ। ২০১৮ সালের নির্বাচনে চিত্রনায়ক ফারুক বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের প্রার্থী আন্দালিব রহমান পার্থকে পরাজিত করে সংসদ সদস্য হয়েছিলেন।

এসআর/এফকে