ভয়াবহতা কমলেও যক্ষ্মার অস্তিত্ব রয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. শামসুল হক টুকু। রোববার (১৮ জুন) জাতীয় সংসদ ভবনের পার্লামেন্ট মেম্বার্স ক্লাবে এক সভায় এ কথা বলেন ডেপুটি স্পিকার। 

সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ডেপুটি স্পিকার মো. শামসুল হক টুকু যক্ষ্মা নির্মূলে সংসদ সদস্যদের সংসদের ভিতরে বাইরে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির নেতৃত্বে এবং স্টপ টিবি পার্টনারশিপ-ইউএনওপিএস-এর সহযোগিতায় আইসিডিডিআর’বি এবং প্রিপ ট্রাস্টের উদ্যোগে আয়োজিত ‘যক্ষ্মা নির্মূলে সংসদীয় ককাস গঠন বিষয়ক’ সভায় সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লাইন ডিরেক্টর ডা. মো. মাহফুজার রহমান সরকার। 

সভায় উপস্থিত সকলের মতামতের ভিত্তিতে মো. হাবিবে মিল্লাতকে সভাপতি, ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারীকে সহ-সভাপতি ও আরমা দত্তকে সাধারণ সম্পাদক করে সংসদীয় টিবি ককাস গঠন করা হয়।

প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বলেন, বর্তমানে দেশে যক্ষ্মা রোগের ভয়াবহতা কিছুটা কমে গেলেও এখনো অস্তিত্ব রয়ে গেছে। এই রোগ নির্মূলে সংসদ সদস্যদের বিশেষ ভূমিকা রাখতে হবে। কারণ সংসদ সদস্যরাই পারেন তাদের অবস্থান থেকে ক্ষতিগ্রস্ত সম্প্রদায়ের কথা জাতীয়, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক আলোচনায় তুলে ধরতে। 

তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকার যক্ষ্মার নমুনা বিনামূল্যে পরীক্ষা করে আক্রান্তদের ফ্রি চিকিৎসা দিচ্ছে। সরকার যক্ষ্মা নির্মূলে খুবই আন্তরিক, একই সাথে জনগণকেও যক্ষ্মা নির্মূলে সরকারের প্রদত্ত ফ্রি সেবা গ্রহণ করতে হবে এবং সচেতন হতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার যক্ষ্মায় মৃত্যুর হার শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনতে চায়। এ লক্ষ্যে যক্ষ্মা নির্মূলে ‘সংসদীয় ককাস’ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

সভায় উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য ডা. আ. ফ. ম. রুহুল হক, বেগম রওশন আরা মান্নান, আহমেদ ফিরোজ কবির, মো. হাবিবে মিল্লাত, শামীম হায়দার পাটোয়ারী, নুরুন্নবী চৌধুরী, ফখরুল ইমাম, বেনজীর আহমেদ, পংকজ নাথ, প্রাণ গোপাল দত্ত, মোছা. শামীমা আক্তার খানম, বাসন্তী চাকমা, শবনম জাহান, লুৎফুন নেসা খান, নাজমা আকতার, ফেরদৌসী ইসলাম, আদিবা আনজুম মিতা, আরমা দত্ত, গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার, শামসুন নাহার, নার্গিস রহমান ও কানিজ ফাতেমা আহমেদ এবং আইসিডিডিআরবি’র ইনফেকশাস ডিজিজেস ডিভিশনের সিনিয়র ডিরেক্টর ড. ফিরদৌসী কাদরী ও সিনিয়র টিবি মিটিগেশন এন্ড কোর্ডিনেশন এডভাইজার, ডা. আজহারুল ইসলাম খান।

এসআর/এসকেডি