ফাইল ছবি।

আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহায় ঢাকা অঞ্চল থেকে নৌপথে ঈদযাত্রা করবেন প্রায় ৩০ লাখ মানুষ। ঢাকা নদীবন্দরের বিভিন্ন ঘাট হয়ে ঢাকা ছাড়বেন ২৭ লাখ মানুষ। বাকি তিন লাখ মানুষ নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দর হয়ে যাবেন।

রোববার (১৮ জুন) বেসরকারি সংগঠন নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির ঈদপূর্ব পর্যবেক্ষণ ও জরিপ প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়। 

প্রতিবেদনে বলা হয়, ঈদে ঢাকা, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জসহ বৃহত্তর ঢাকা অঞ্চল ছাড়েন প্রায় ১ কোটি ৫০ লাখ মানুষ। যার মধ্যে ২০ শতাংশ (৩০ লাখ) যান নৌপথে। এর প্রায় শতভাগই উপকূলীয় জেলা বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, ভোলা, পটুয়াখালী, চাঁদপুর, শরীয়তপুর ও মাদারীপুরের যাত্রী। 

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ঢাকা থেকে বিভিন্ন গন্তব্যের নৌপথ ৪১টি। তবে তীব্র নাব্য সংকট ও যাত্রী স্বল্পতার কারণে বড় আয়তনের ও বিলাসবহুল লঞ্চ চলাচল না করায় অন্তত ১৫টি নৌপথ দৃশ্যত ইতোমধ্যে পরিত্যক্ত হয়ে পড়েছে। বাকি ২৬টি নৌপথে প্রায় ৭০টি লঞ্চ নিয়মিত আসা-যাওয়া করে।

ঈদের আগে লঞ্চের সংখ্যা বেড়ে প্রায় ১৮০টি হবে। এরমধ্যে ৯০টি লঞ্চ প্রতিদিন সদরঘাট থেকে বিভিন্ন গন্তব্যের উদ্দেশে ছেড়ে যাবে এবং বিভিন্ন স্থান থেকে সদরঘাটে আসবে ৯০টি। তবে কোন লঞ্চেই দুই হাজারের বেশি যাত্রী ধারণক্ষমতা নেই। অনেক লঞ্চের ধারণক্ষমতা এক হাজারেরও নিচে। এছাড়া ঈদের আগের তিন দিন ঘরমুখী জনস্রোত দেড়গুণ বেড়ে যায়।

এদিকে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে সাগরে লঘুচাপের সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। নৌযাত্রায় বিশৃঙ্খলা ও জনদুর্ভোগের পাশাপাশি অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনার আশঙ্কাও করা হচ্ছে।

ঈদযাত্রায় লঞ্চে ধারণক্ষমতার বেশি যাত্রী ওঠালে ব্যবস্থা

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে রোববার সার্বিক আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভা শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ঈদযাত্রায় লঞ্চে ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি যাত্রী ওঠালে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। লঞ্চে কোনোভাবেই যেন অতিরিক্ত যাত্রী না নেওয়া হয় সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে মালিকদেরকে অনুরোধ করা হবে। এছাড়া যেন নাশকতা সৃষ্টি না হয়, সেজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারি থাকবে।

এফকে