প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আইন অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়েছে। ছবিসহ ভোটার তালিকা আছে। তাদের মতো তো ভুয়া ভোটার নেই। সংবিধান অনুযায়ী ভোট হবে। জনগণ যদি ভোট দেয় তাহলে আছি, না হলে নাই। আমি জনগণের ক্ষমতায়নে বিশ্বাস করি।

বুধবার (২১ জুন) গণভবনে সুইজারল্যান্ড সফর নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, যারা আমাদের ভোট চোর বলে তারা তো ভোট ডাকাত। কারণ তারা যখনই ক্ষমতায় এসেছে, অবৈধভাবে ভোট ডাকাতি করেই এসেছে।

তিনি বলেন, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের পর ইলেকশন বলে কিছু ছিল না। ভোটের অধিকার ছিল না। আমরাই আন্দোলন করে ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছি। এখন অনেকে অনেক কথা বলতে পারে। তাদের কথা আলাদা। তারা একটা পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাইবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা আমাদের দেশের সচেতন নাগরিক তারা বিচার করবে ১৪ বা সাড়ে ১৪ বছর আগে ২০০৯ সালের আগে বাংলাদেশ কোথায় ছিল? আজ বাংলাদেশ কোথায়? মানুষের আর্থসামাজিক অবস্থা কী ছিল, আজ সাড়ে ১৪ বছর পর বাংলাদেশের অবস্থাটা কোথায় দাঁড়িয়ে আছে। আমাদের সার্বিক উন্নতি হয়েছে নাকি হয়নি? দেশের মানুষের অর্থনৈতিক সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে নাকি পায়নি? দেশের ভাবমূর্তি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বৃদ্ধি পেয়েছে নাকি পায়নি। আপনাদের মতো সচেতন নাগরিকরা সেটা নিশ্চয়ই বিবেচনা করবেন।

নির্বাচন প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের সময় যে কয়টা উপনির্বাচন হয়েছে, স্থানীয় সরকার নির্বাচন হয়েছে, আপনারাই বলেন নির্বাচনগুলো সুষ্ঠু হয়েছে কি না? আইন অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়েছে। এক কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার লিস্ট বিএনপি সরকার করেছিল। এখন তো আর সেটা নেই, এখন ছবিসহ ভোটার তালিকা আছে। আগে লোহার বাক্স ছিল, সিল মেরে বাক্স ভর্তি করত। এখন ট্রান্সপারেন্ট ব্যালট বক্স, সিল মেরে বাক্স ভরার তো কোনো সুযোগ নেই।

তিনি বলেন, এরপরও ইলেকশন নিয়ে কেন প্রশ্ন তোলা হচ্ছে, কারা তুলছে প্রশ্ন? আমার মনে হয়, এ দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন যারা পছন্দ করছে না, তারাই নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন করছে। তারা সবটুকু নিজেরা খাবে, দেশের মানুষ অবহেলায় থাকবে, দরিদ্র থাকবে, হাহাকার করবে– এজন্যই তো তাদের এই প্রশ্ন।

এএসএস/এসএসএইচ/