চট্টগ্রামে ১৯১ ইউনিয়নে খেলার মাঠ তৈরি করা হচ্ছে : ডিসি
জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেছেন, চট্টগ্রামের ১৯১টি ইউনিয়নে খেলার মাঠ তৈরির কাজ চলমান আছে। ইতোমধ্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এসিল্যান্ডরা প্রতিটি ইউনিয়নে মাঠের জন্য জমি চিহ্নিত করেছেন। এখন ধাপে ধাপে সেখানে ইউনিয়ন স্পোর্টস অ্যান্ড কালচারাল সেন্টার নির্মাণ করা হবে। আগামী একবছরের মধ্যে এসব মাঠে খেলাধুলা চালু হবে।
বৃহস্পতিবার (২২ জুন) চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ড মাঠে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আন্তঃকলেজ ফুটবল প্রতিযোগিতা-২০২৩ এর মহানগর পর্যায়ের প্রতিযোগিতার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন রেলপথ সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী এমপি। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ক্রীড়াবান্ধব। ক্রীড়াচর্চার মাধ্যমে নতুন প্রজন্ম নিজেদেরকে বিকশিত করবে এবং মাদক থেকে দূরে থাকবে। পলোগ্রাউন্ড মাঠকে চট্টগ্রামে ক্রীড়া চর্চার প্রাণকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হবে। এজন্য রেলপথ মন্ত্রণালয় থেকে প্রয়োজনীয় সহায়তা করা হবে। পলোগ্রাউন্ডে অ্যাথলেটিকস ট্র্যাক বসানোর জন্য চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে যে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, তা চট্টগ্রাম বিভাগের ক্রীড়া চর্চায় যুগান্তকারী ভূমিকা রাখবে। পলোগ্রাউন্ডে ফুটবল, ক্রিকেট, হকি ও অ্যাথলেটিকস এই ইভেন্টগুলোতে যাতে ক্রীড়াবিদ গড়ে উঠে সেজন্য অবকাঠামোগত উন্নয়ন করা হবে।
চট্টগ্রামের ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডের সঙ্গে জড়িত সাবেক ক্রীড়াবিদরা মনে করেন, জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে পলোগ্রাউন্ডে যদি একটা অ্যাথলেটিকস ট্র্যাক বা টার্ফ স্থাপন করা যায় তাহলে চট্টগ্রামসহ তিন পার্বত্য জেলা রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান থেকে প্রচুর মানসম্মত অ্যাথলেট তৈরি হবে। তারা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সাফল্য বয়ে আনবে।
বিজ্ঞাপন
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ. জ. ম নাছির উদ্দীন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) আব্দুল মালেক, সিজেকেএস সহ-সভাপতি রাউজান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এহছানুল হায়দার চৌধুরী বাবুল, জেলা প্রশাসনের এনডিসি মো. তৌহিদুল ইসলাম ও সিনিয়র সহকারী কমিশনার মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী।
এমআর/এমএ