জরুরি পরিচালন কেন্দ্রসহ পাঁচটি কেন্দ্রের উদ্বোধনের ফলে দক্ষিণ সিটি স্মার্ট ঢাকা হিসেবে বাস্তবায়নকে নতুন ধাপে উন্নীত করেছে বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।  

এছাড়াও এখন থেকে জরুরি পরিচালন কেন্দ্র হতে দুর্যোগ মোকাবিলায় তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হবে বলেও জানিয়েছেন মেয়র। 

সোমবার (২৬ জুন) ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান কার্যালয় নগর ভবনের শীতলক্ষ্যা হলে দুর্যোগ মোকাবিলায় 'জরুরি পরিচালন কেন্দ্র,  নগর কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ, নগর উপাত্ত কেন্দ্র, নিরাপত্তা ও অন্তর্জাল কেন্দ্র এবং নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। 

ব্যারিস্টার তাপস বলেন, জরুরি পরিচালন কেন্দ্রসহ পাঁচটি কেন্দ্রের উদ্বোধনের মাধ্যমে আজ আমরা দুর্যোগ মোকাবিলায় আমাদের সক্ষমতা বৃদ্ধির একটি উচ্চপর্যায়ে অবস্থান করতে পারছি। সক্ষমতা বৃদ্ধির একটি উচ্চতর শিখরে আমরা পৌঁছাতে পেরেছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার যে রূপকল্প দিয়েছেন, সেই স্মার্ট বাংলাদেশের স্মার্ট ঢাকা গড়ার একটি নতুন ধাপে আমরা উন্নীত হতে পেরেছি।

এ পরিচালন কেন্দ্রের মাধ্যমে দুর্যোগ মোকাবিলায় আরও একধাপ এগিয়ে গিয়েছি মন্তব্য করে মেয়র বলেন, আপনারা লক্ষ্য করেছেন, অত্যাধুনিক সকল সরঞ্জাম দিয়ে এই জরুরি পরিচালন কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে রিয়েল টাইম অর্থাৎ দুর্যোগ সংক্রান্ত সকল তথ্য তাৎক্ষণিকভাবে আমরা পেয়ে যাবো। যেমন, আপনার লক্ষ্য করেছেন, আমি এখন কথা বলছি, এখন যদি কোথাও ভূমিকম্প হয়, ঢাকা বা বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের যেকোনো জায়গায় ভূমিকম্প হয় আমি কিন্তু সেটার বিস্তারিত বিবরণসহ তাৎক্ষণিক তথ্যটা পেয়ে যাচ্ছি যে কোথায় ভূমিকম্প হচ্ছে। তেমনি আবহাওয়ার পরিবর্তনজনিত তথ্য, বন্যার তথ্যসহ দুর্যোগজনিত প্রায় সকল তথ্যই কিন্তু আমরা সাথে সাথে এই পরিচালন কেন্দ্রে পেয়ে যাচ্ছি। আর তাৎক্ষণিকভাবে তথ্য পাওয়ার সাথে সাথে আমরা কি কি জরুরি ব্যবস্থা নিতে হবে, সেগুলো কিন্তু আমরা এখানে বসেই বিচার-বিশ্লেষণ ও পর্যালোচনা করতে পারব। 

এ সময় মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস দুর্যোগ মোকাবিলায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৯ জন কাউন্সিলরের সমন্বয়ে স্থায়ী কমিটি গঠন, প্রতিটি ওয়ার্ড হতে ২০০ জন স্বেচ্ছাসেবী নিয়ে ওয়ার্ডভিত্তিক কমিটি গঠন এবং তাদের জরুরি পরিচালন কেন্দ্রে সন্নিবেশিত জিআইএস-ভিত্তিক এপিকে এর আওতায় নিয়ে এসে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে বলেও জানান। 

ডিএসসিসির সিস্টেম এনালিস্ট মো. আবু তৈয়ব রোকনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আরিফুর রহমান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ মো. সিরাজুল ইসলাম, সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান প্রকৌশলী আশিকুর রহমান, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে শামসুল কবির, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন প্রমুখ।

এএসএস/এমএ