সরকারি কর্মচারীদের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষিত ৫ শতাংশ প্রণোদনায় অন্তর্ভুক্ত হতে চায় পেনশনভোগী কর্মচারীরাও। অবসর সুবিধা ভোগকারী সাড়ে ৭ লাখ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও সরকার ঘোষিত নতুন সুবিধা পাওয়ার দাবি জানিয়েছে।

সোমবার ‘বাংলাদেশ অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী কল্যাণ সমিতি’র মহাসচিব ও সাবেক সচিব আবু আলম মো. শহিদ খান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিবৃতিতে এ দাবি জানান তারা।

রোববার (২৫ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাজেট বক্তৃতায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে দুই বছর ধরে মূল্যস্ফীতির হার বাড়ায় সরকারি কর্মচারীদের জন্য মূল বেতনের ৫% প্রণোদনা প্রদান করার সুপারিশ করেছে।

অবসরপ্রাপ্ত এ সাড়ে সাত লাখ কর্মচারীদের মধ্যে ৮০% ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারী এবং তাদের ৯০% চরম আর্থিক ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছেন। এ বিপুলসংখ্যক অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারীদের ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রেখে সরকারের এসডিজিসহ অন্যান্য উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়। প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণার প্রেক্ষিতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বহু সংখ্যক অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী বাংলাদেশ অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী কল্যাণ সমিতিতে যোগাযোগ করে এ প্রণোদনা সুবিধা প্রাপ্তির বিষয়ে নিশ্চিত হতে চেয়েছেন।

সভায় উপস্থিত সদস্যরা অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারীদের এ প্রণোদনার আওতায় আনতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্দেশ্যে সরকারের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন মহলে যোগাযোগ করার জন্য সমিতি কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানান।

সোমবারের সভায় সমিতির সভাপতি ও জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক সভাপতিত্ব করেন। সভায় সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। 

সমিতির সদস্যরা মনে করেন, প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত প্রণোদনা সুবিধাটি সাড়ে সাত লাখ সামরিক ও বেসামরিক অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী পেনশনারদের প্রতি সমভাবে প্রযোজ্য না হলে পেনশনারদের প্রতি বৈষম্য আরো অধিক পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে যা সংবিধান প্রতিশ্রুত সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায় বিচারের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ বলে প্রতীয়মান হবে না।

সভায় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ঘোষিত সরকারি কর্মচারীদের জন্য ৫% প্রণোদনা সুবিধা প্রদানের জন্য ধন্যবাদ জানানো হয়। এই সুবিধা অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারীদের প্রদানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রধানমন্ত্রী এবং সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ জানানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।

এনএম/এমজে