স্মার্ট পশুর হাটে ক্রেতা-বিক্রেতারা নিরাপদ লেনদেনের সুবিধা পাচ্ছে
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) স্মার্ট পশুর হাটে ক্রেতা বিক্রেতারা নিরাপদ লেনদেনের সুবিধা পাচ্ছে বলে জানিয়েছেন মেয়র আতিকুল ইসলাম।
মঙ্গলবার (২৭ জুন) রাজধানীর উত্তরা দিয়াবাড়ি কোরবানির পশুর হাট পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
শুরুতেই মেয়র আতিকুল ইসলাম পশুর হাটে ডিজিটাল লেনদেনের জন্য নির্মিত বুথ পরিদর্শন করেন। এ সময় ডিজিটাল বুথে আগত ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
আতিকুল ইসলাম বলেন, গতবছর পরীক্ষামূলকভাবে স্মার্ট হাট শুরু করেছিলাম। জনগণের ব্যাপক সাড়া পাওয়ায় আমরা এ বছর ৮টি হাটে ডিজিটাল পদ্ধতিতে লেনদেনের ব্যবস্থা রেখেছি। এখানে এসে দেখলাম একজন ক্রেতা যে গরুটি পছন্দ করেছেন সেই পরিমাণ টাকা তিনি সঙ্গে নিয়ে আসেননি। কিন্তু ডিজিটাল পদ্ধতিতে তিনি তার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা উত্তোলন করে পছন্দের গরুটি কিনেছেন। আবার একজন বিক্রেতা গরু বিক্রির এতোগুলো টাকা সঙ্গে বহন না করে হাটেই ডিজিটাল বুথে ব্যাংক একাউন্ট খুলে তার অ্যাকাউন্টে জমা করেন। ডিএনসিসির স্মার্ট হাটের ডিজিটাল লেনদেন ব্যবস্থার ফলেই এটি সম্ভব হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, কোরবানির পশুর হাটে বিপুল সংখ্যক ক্রেতা-বিক্রেতার সমাগম ঘটেছে। হাটের সঠিক ব্যবস্থাপনার জন্য আমরা সব ধরনের ব্যবস্থা রেখেছি। হাটগুলোতে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। পশুর হাটের বর্জ্য পরিষ্কার করাসহ যেসব শর্ত দেওয়া হয়েছে ইজারাদারদের সেগুলো পালন করতে হবে। আমি গতবছরও শর্ত ভঙ্গ করায় জরিমানা করেছিলাম। এবছরও কোনো শর্ত ভঙ্গ করলে ইজারাদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এমনকি তাদের জমাকৃত অর্থ বাজেয়াপ্তও করা হবে।
সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে ডিএনসিসি মেয়র কোরবানির পশুর হাট ঘুরে দেখেন এবং ক্রেতা বিক্রেতাদের মাঝে কোরবানির বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় করণীয় বিষয়ক লিফলেট বিতরণ করেন।
পশুর হাট পরিদর্শনের সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ. কে. এম শফিকুর রহমান, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এস এম শরিফ-উল ইসলাম, ডিএনসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা, মোহাম্মদ আনিসুর রহমান প্রমুখ।
এএসএস/এনএফ