দুদকের নতুন কমিশনার আছিয়া খাতুনের যোগদান
সাবেক সচিব মোছা. আছিয়া খাতুন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) নতুন কমিশনার হিসাবে যোগদান করেছেন।
রোববার (২ জুলাই) কমিশনার পদে যোগদান করার পর দুদকের সম্মেলন কক্ষে সংস্থাটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দিন আবদুল্লাহ ও কমিশনার (তদন্ত) মো. জহুরুল হক তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান।
বিজ্ঞাপন
এ সময় কমিশনের সচিব মো. মাহবুব হোসেন, মহাপরিচালক, পরিচালক, উপ-পরিচালক, সহকারী পরিচালক ও উপ-সহকারী পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে ১৩ জুন সাবেক সচিব মোছা. আছিয়া খাতুনকে দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার পদে নিয়োগ দিয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
বিজ্ঞাপন
গত ১ জুলাই দুদকের কমিশনার (অনুসন্ধান) ড. মো. মোজাম্মেল হক খানের মেয়াদ শেষ হয়। মোছা. আছিয়া খাতুন তার স্থলাভিষিক্ত হলেন।
আছিয়া খাতুন সরকারি কর্ম কমিশন সচিবালয়ের সচিব থাকা অবস্থায় ২০২২ সালের ৩ জানুয়ারি অবসরে যান।তিনি ১৯৬৩ সালে চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনা শহরে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি বিবাহিতা ও এক কন্যা সন্তানের জননী। তার স্বামীও একজন সরকারের সচিব পদ মর্যাদার কর্মকর্তা ছিলেন।
ছাত্রজীবনে আছিয়া খাতুন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম.কম (হিসাব বিজ্ঞান) পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অধিকার করেন এবং কৃতিত্বের স্বাক্ষর হিসেবে “মন্নুজান হল কৃতি ছাত্রী” পুরস্কার লাভ করেন। তিনি পরবর্তীতে দ্য ইন্সটিটিউট অব সোশ্যাল স্টাডিজ, দ্য নেদারল্যান্ডস থেকে উইমেন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট বিষয়ে মাস্টার্স ডিগ্রি, ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুর থেকে ‘পাবলিক পলিসি’-তে মাস্টার্স ডিগ্রি এবং নানিয়াং টেকনোলজিক্যাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুর থেকে এম.বি.এ. ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি (এমআইটি)-র স্লোন বিজনেস স্কুল থেকে অ্যাডভান্সড ম্যানেজমেন্ট কোর্স সম্পন্ন করেন।
আছিয়া খাতুন ১৯৯১ সালের ২৬ জানুয়ারি বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের সদস্য হিসেবে বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়, চট্টগ্রামে যোগদান করেন। পরবর্তীতে তিনি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, নোয়াখালী ও খুলনাতে সহকারী কমিশনার ও ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং ভূমি মন্ত্রণালয়-এ সিনিয়র সহকারী সচিব হিসেবে ও উপ-সচিব থাকাকালীন পরিকল্পনা ও উন্নয়ন একাডেমির পরিচালক পদে এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। দেশের বাইরে সৌদি আরবের জেদ্দার বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল কার্যালয়ে কাউন্সেলর পদেও তিনি দায়িত্ব পালন করেন। তিনি অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের যুগ্ম-সচিব ও অতিরিক্ত সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস প্রশাসন একাডেমির মেম্বার ডিরেকটিং স্টাফ (এমডিএস) পদে কর্মরত ছিলেন।
২০২০ সালের ৭ জুন বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন সচিবালয়ের সচিব পদে যোগদান করেন। সরকারি কাজে দীর্ঘ অভিজ্ঞতা রয়েছে তার। তিনি গত ২৯ বছর বাংলাদেশ সরকারের সচিবালয় এবং মাঠ প্রশাসনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে অতিরিক্ত সচিব, যুগ্ম-সচিব, উপ-সচিব এবং সিনিয়র সহকারী সচিব ও সহকারী কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
এছাড়াও তিনি পাবলিক পলিসি, লিডারশিপ, নেগোশিয়েশন অ্যান্ড কনফ্লিক্ট ম্যানেজমেন্ট এবং উইমেন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট বিষয়ের একজন প্রশিক্ষক এবং বাংলাদেশে স্বীকৃত প্রশিক্ষকদের সংগঠন বাংলাদেশ সোসাইটি ফর ট্রেনিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট-এর একজন জীবন-সদস্য।
আরএম/এসকেডি