প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের উচ্চ সংক্রমণ ঘটছে এমন ২৯ জেলাকে চিহ্নিত করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সংক্রমণের ক্ষেত্রে এসব জেলাগুলোকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।

সোমবার (২৯ মার্চ) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ বি এম খুরশিদ আলম এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পক্ষে ১৮ দফা নির্দেশনা ঘোষণার সময় এ তথ্য জানান।

এসময় ঢাকা, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, নীলফামারী, রাজশাহী, নওগাঁ, সিলেট, খুলনায় করোনা সংক্রমণের উচ্চহারের কথা উল্লেখ করেন তিনি।

ঝুঁকিপূর্ণ ২৯ জেলায় রেড জোন চিহ্নিত করা বা সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হতে পারে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, সেখানকার কোভিড কমিটি চাইলে যেকোনো ব্যবস্থা নিতে পারে, তবে সাধারণ ছুটির বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত আসেনি।

তিনি বলেন, তিন মাসে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে সারাদেশের মানুষের চরম অনীহা, অবহেলা ও বেপরোয়া মনোভাব দেখিয়েছে, আর এ কারণে দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়েছে।

স্বাস্থ্য মহাপরিচালক বলেন, ‘সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন সংগঠনের প্রচেষ্টার পাশাপাশি জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ ছাড়া মহামারি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে না। মনে রাখতে হবে, প্রত্যেকে সুরক্ষিত না হলে আমরা কেউ সুরক্ষিত নই।’

অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, ‘জেলা পর্যায়ে করোনা নিয়ন্ত্রণ কমিটি রয়েছে। সংশ্লিষ্ট জেলাগুলোতে কী ব্যবস্থা নেওয়া যায় সেটি নিয়ন্ত্রণ কমিটি ঠিক করবে। তবে আমরা বিষয়টি মনিটরিং করব।’

তিনি বলেন, ‘আমরা দেখেছি, প্রথম দিকে নতুন করে করোনা সংক্রমণের জেলা ছিল ছয়টি। ২০ মার্চ সেটি ২০ জেলায় পেয়েছি এবং ২৪ তারিখে পেয়েছি ২৯ জেলায়। সুতরাং করোনা সংক্রমণ বেড়েই যাচ্ছে।’

এর আগে দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব ড. আহমেদ কায়কাউস স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাসহ বেশ কিছু বিধিনিষেধ আরোপের কথা বলা হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, করোনার উচ্চ সংক্রমণ থাকা এলাকায় সব ধরনের জনসমাগম নিষিদ্ধ থাকবে। এছাড়া সীমিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সব ধরনের সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয়সহ অন্যান্য সমাগম। বিয়ে, জন্মদিনসহ যেকোনো সামাজিক অনুষ্ঠান উপলক্ষে জনসমাগম নিরুৎসাহিত করতে হবে বলেও জানানো হয়েছে প্রজ্ঞাপনে।

টিআই/জেডএস