চট্টগ্রাম-১০ উপ-নির্বাচন
ভোটে অংশগ্রহণ ঠেকাতে ঋণ খেলাপিদের তথ্য চাইল ইসি
আসন্ন চট্টগ্রাম-১০ শূন্য আসনের উপ-নির্বাচন উপলক্ষ্যে ঋণ খেলাপিদের তথ্য চেয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই তথ্যের ভিত্তিতে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র বাছাই করবেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।
ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিবের কাছে এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
চিঠিতে বলা হয়েছে, আগামী ৩০ জুলাই অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় সংসদের ২৮৭ চট্টগ্রাম-১০ নির্বাচনী এলাকার শূন্য আসনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সংশ্লিষ্ট আইন ও বিধি অনুসারে ঋণ খেলাপি ব্যক্তিরা নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারেন না। উল্লিখিত নির্বাচনে ঋণ খেলাপি ব্যক্তিরা মনোনয়নপত্র দাখিল করলে যাতে তাদের প্রার্থী হিসেবে অযোগ্য ঘোষণা করা যায়, সেজন্য আইনে নির্ধারিত সব ব্যাংক থেকে ঋণ খেলাপি সংক্রান্ত তথ্য সরবরাহ করা আবশ্যক।
চিঠিতে আরও বলা হয়, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন বিকেল ৪টার পর মনোনয়নপত্র দাখিলকারীদের নাম, বাবা/মা/স্বামীর নাম ও প্রয়োজনীয় অন্যান্য তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্ট ব্যাংক/আর্থিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক স্ব উদ্যোগে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারের কাছ হতে সংগ্রহ করার জন্য এবং সে আলোকে বিভিন্ন ব্যাংক/আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারকে ঋণ খেলাপি সংক্রান্ত তথ্য সরবরাহ করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া প্রয়োজন। এমতাবস্থায়, উল্লিখিত নির্বাচন উপলক্ষ্যে ঋণ খেলাপি সংক্রান্ত তথ্য মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের দিন কিংবা তার পূর্বে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারকে প্রদান এবং প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের সময় রিটার্নিং অফিসারের দপ্তরে উপস্থিত থাকার নির্দেশনা প্রদানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
বিজ্ঞাপন
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ছিল ৪ জুলাই, মনোনয়নপত্র বাছাই ৬ জুলাই, আপিল দায়ের করা যাবে ৭ থেকে ৯ জুলাই পর্যন্ত, আপিল নিষ্পত্তি হবে ১০ থেকে ১১ জুলাই, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১২ জুলাই এবং প্রতীক বরাদ্দ হবে ১৩ জুলাই। সব কেন্দ্রে ভোট নেওয়া হবে ইভিএমের মাধ্যমে। ভোটকেন্দ্রে স্থাপন করা হবে সিসিটিভি ক্যামেরা।
চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং-হালিশহর-খুলশী-কাতালগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য ডা. আফছারুল আমীন গত ২ জুন মৃত্যুবরণ করেন। গত ৪ জুন আসনটি শূন্য ঘোষণা করে সংসদ সচিবালয়। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ফুসফুসের ক্যানসারে ভুগছিলেন।
আফছারুল আমীন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। এর আগে তিনি প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী ছিলেন। ২০০৮ সালে তিনি প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি পেশায় ছিলেন একজন চিকিৎসক। তার জন্ম হয়েছিল ১৯৫২ সালের ১ জানুয়ারি।
এসআর/জেডএস