দেশে মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ায় প্রথম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। ৩৭১ ইউপিতে আগামী ১১ এপ্রিল এ ভোট হওয়ার কথা রয়েছে।

সোমবার (২৯ মার্চ) সন্ধ্যায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে কমিশন সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভা সূত্রে জানা গেছে, ৩১ মার্চের পরের সব নির্বাচনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে ১ এপ্রিল। তবে ইতোমধ্যে নির্বাচন বিষয়ে ইসি কর্মকর্তাদের ট্রেনিং (প্রশিক্ষণ) বন্ধ করা হয়েছে। করোনার প্রভাব বাড়ার ফলে কমিশনের কর্মকর্তাদের ৫০ শতাংশ অফিস করবেন বলেও সিদ্ধান্ত হয়েছে।

ইসি সূত্র জানায়, করোনাভাইরাস বাড়ার ফলে বিদ্যমান পরিস্থিতিতে সরকার ১৮ দফা নির্দেশনা দিয়েছে। এই নির্দেশনা পাওয়ার পরই জরুরি বৈঠকে বসে কমিশন। সেখানেই প্রাথমিকভাবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

তবে এই বিষয়ে ইসি সচিব হুমায়ুন কবীর খোন্দকার জানান, ইউপি নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোট করোনার কারণে স্থগিত হবে কি-না, তা এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। আগামী ১ এপ্রিল কমিশন সভা ডাকা হয়েছে। সেখানেই এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হবে।

এদিকে ইসি সূত্র জানায়, আজকে হঠাৎ সভার ডাক দেয় কমিশন। বৈঠকে আগামী ৩১ মার্চ কিছু কিছু স্থানে নির্বাচন রয়েছে সেগুলো করা হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়। তবে ৩১ মার্চের পরে সব নির্বাচন স্থগিত করার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়েছে। এছাড়া করোনার সংক্রমণ রোধে ইসির কর্মকর্তা কর্মচারীদের ৫০ শতাংশ অফিস করবেন বলে সিদ্ধান্ত হয় ।এছাড়া লক্ষ্মীপুর-২ আসনের উপ-নির্বাচনের বিষয়ে আগামী ১ তারিখের সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানায় ইসি সূত্র।

উল্লেখ্য, দেশের ১৯ জেলার ৬৪ উপজেলার ৩৭১ ইউপিতে প্রথম ধাপে ভোট হওয়ার কথা ১১ এপ্রিল। এদিকে, আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের প্রথম ধাপে একক প্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তথা ভোট ছাড়াই ৭৩ জন বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। বিজয়ীরা সবাই ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের।

এছাড়া ইউপি নির্বাচনে একক প্রার্থী হিসেবে সাধারণ সদস্য (মেম্বার) পদে ৬৩ এবং সংরক্ষিত নারী সদস্য (মহিলা মেম্বার) পদে ছয় জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এ নির্বাচনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ১৮ মার্চ মনোনয়ন জমার শেষ সময় ছিল, বাছাই ছিল ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২৪ মার্চ ছিল প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় শেষ সময়।

এসআর/এফআর