সুইডেনে পবিত্র ধর্মগ্রন্থ আল কোরআন অবমাননা ও পোড়ানোর প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল শেষে গণদোয়ায় অংশ নিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। বিক্ষোভ মিছিল শেষে পল্টন মোড়ে বিশ্বের মুসলমানদের শান্তি কামনা করে দোয়া করা হয়।

শুক্রবার (৭ জুলাই) জুম্মার নামাজ শেষে বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেটের সিঁড়িতে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে দুপুর ২টা ৩৫ মিনিটে এ বিক্ষোভ মিছিল বের করেন তারা।

বিক্ষোভ মিছিলটি বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেট থেকে বের হয়ে, পল্টন মোড় অতিক্রম করে বিজয়নগর হয়ে, নাইটেঙ্গেল মোড় ঘুরে পল্টন মোড়ে এসে শেষ হয়। এতে হাজার হাজার মুসল্লিসহ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।

বিক্ষোভ মিছিল শেষে পল্টন মোড়ে ফের সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন তারা। এ সময় বিজয়নগর থেকে গুলিস্তান যাওয়ার সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

এদিকে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষ করে বিশ্বের মুসলমানদের শান্তি ও নিরাপত্তা কামনা করে গণ-দোয়া করা হয়।

অন্যদিকে বিক্ষোভ মিছিলকে কেন্দ্র করে যেন কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য বায়তুল মোকাররম মসজিদের ফটকে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

মিছিলের আগে বায়তুল মোকাররম গেটে আয়োজিত সমাবেশে বক্তারা বলেন, আল কোরআনের অবমাননা যারা করে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি আমরা চাই। সুইডেনে আসলে আল কোরআন পোড়ানো হয়নি, বিশ্বের মুসলমানদের হৃদয় পোড়ানো হয়েছে। এ ঘটনায় গোটা বিশ্বের মুসলমানদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। আমরা এটা কোনভাবেই মেনে নিতে পারছি না। কোরআনের অবমাননা কোনো মুসলমানদের পক্ষে মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। তাই আমরা এর প্রতিবাদে রাজপথে নেমে এসেছি। সুইডেনে এর আগেও এমন নিন্দনীয় অপরাধের ঘটনা ঘটেছে। কেন এমন ঘটনা বারবার ঘটছে তা বের করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আমরা দাবি জানাচ্ছি।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী। এছাড়া মহাসচিব হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদসহ বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতারা।

বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন দলের সহকারী মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম।

উল্লেখ্য, গত ২৮ জুন সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমের কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে পবিত্র কুরআনে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে।

এএসএস/এসকেডি