বরিশালের উজিরপুরে আড়াই মাস আগে নিজ বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন সাব-রেজিস্ট্রার বাদল কৃষ্ণ বিশ্বাস। নিখোঁজের ৭৮ দিন পার হলেও এখনো তার কোনো খোঁজ মেলেনি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তদন্তেই এটি সীমাবদ্ধ আছে কিন্তু আজ পর্যন্ত তার কোনো খোঁজ দিতে পারেননি কেউ। সরকারের সদিচ্ছা থাকলে তাকে খুঁজে বের করা কঠিন কিছু নয়। নিখোঁজের পর থেকে তার স্ত্রী, সন্তানসহ পরিবারের সদস্যরা উদ্বিগ্নতার মধ্য দিয়ে দিন অতিবাহিত করছেন।

শনিবার (৮ জুলাই) সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাদল কৃষ্ণ বিশ্বাসের সন্ধান চেয়ে আয়োজিত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে এসব কথা বলেন বক্তারা।

মানববন্ধনে নিখোঁজ বাদল কৃষ্ণ বিশ্বাসের স্ত্রী জোছনা রাণী বিশ্বাস বলেন, ঘটনার দিন আমার স্বামী বাজার থেকে এসে পুকুরে মাছের খাবার দিতে যান। খাবার দিতে গিয়ে পরে তিনি আর ফিরে আসেননি। থানায় জিডি করলাম। পুলিশ, র‌্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বলছেন- যারা তাকে নিয়ে গেছেন, তারা কোনো ফোন বা ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করেন না। তাই তাদের চিহ্নিত বা খুঁজে বের করা যাচ্ছে না। একজন মানুষ এভাবে নিখোঁজ হয়ে যাবেন, আর তার কোনো খোঁজ পাওয়া যাবে না এটা হতে পারে না।

বাদল কৃষ্ণ বিশ্বাসের চাচা সাবেক যুগ্ম-সচিব ননী গোপাল বিশ্বাস বলেন, বাদল কৃষ্ণর মতো একজন মানুষ হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যাবেন, তা মেনে নেওয়া যায় না। একজন মুক্তিযোদ্ধা এভাবে নিখোঁজ হতে পারেন না। সরকারকে অনুরোধ জানাবো তাকে যেন খুঁজে বের করা হয়। সরকার চাইলে এটা অসম্ভব কিছুই নয়।

ঢাকা কলেজের সাবেক অধ্যাপক শ্রী হরসিৎ বালা বলেন, বাদল কৃষ্ণ বিশ্বাসের কাছ থেকে শিখেছি মানবিকতা কি। আজ এতদিন ধরে তিনি নিখোঁজ রয়েছেন। স্বাধীন দেশে একটা মানুষ এভাবে হারিয়ে যাবেন, তা কি হতে পারে? এর জন্য কি দেশ স্বাধীন হয়েছিল? তাকে খুঁজে বের করা সরকারের দায়িত্ব। আমরা বলব অতিদ্রুত সময়ের মধ্যে তাকে খুঁজে বের করা হোক।

মানব বন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ, বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট, হিন্দু ছাত্র মহাজোট, বাংলাদেশ হিন্দু পরিষদ, বাংলাদেশ সনাতন পার্টিসহ (বি.এস.পি) উজিরপুরের স্থানীয় বাসিন্দারা বক্তব্য রাখেন।

এনআর/এফকে