ছবি : সংগৃহীত

প্রতিদিন জাতীয় দৈনিকে অসংখ্য খবর প্রকাশিত হয়। সেইসব খবর থেকে আলোচিত কিছু খবরের সংকলন করা হলো।

সরকারের বিভিন্ন সংস্থা ২০১৭–১৮ থেকে ২০২১–২২ পর্যন্ত পাঁচ অর্থবছরে মোট ১২১টি মানি লন্ডারিং (অর্থ পাচার) মামলা দায়ের করেছে। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল গতকাল রোববার জাতীয় সংসদে সরকারি দলের সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠকের শুরুতে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।

এর পাশাপাশি অন্যান্য খবরগুলো দেখে আসি—

প্রথম আলো

প্রবাসী আয়ে হিস্যা বাড়ছে যুক্তরাষ্ট্রের, কমছে সৌদি আরবের

কেউ বলছেন, প্রবাসী আয়ের ক্ষেত্রে ব্যাপক পরিবর্তনের পেছনে বড় ভূমিকা রাখছে হুন্ডি। আবার কেউ বলছেন, দেশ থেকে অর্থ পাচার হওয়ার সঙ্গে এই পরিবর্তনের একটা সম্পর্ক রয়েছে। অর্থাৎ পাচার হওয়া অর্থ প্রবাসী আয় হিসেবে দেশে ফিরে আসছে।

মশার বিস্তার ঠেকানো এবং মশা মারার কার্যকর পদ্ধতি নির্ধারণের জন্য দুই বছর আগে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এলাকায় গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষক। তাঁরা তখন বেশ কিছু সুপারিশ সিটি করপোরেশনকে দিয়েছিলেন।

প্রথম আলো

ডেঙ্গু রোধে মশা ও ওষুধ নিয়ে গবেষণা বাড়াতে হবে

২০২১ সালে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এলাকায় আমরা একটা গবেষণার কাজ চালিয়েছিলাম। উদ্দেশ্য ছিল, কোন ওষুধে পরিবেশগত ও স্বাস্থ্যগত দিক বজায় রেখে মশকনিধন কার্যকরভাবে করা যায়। নালা–নর্দমায় পানিপ্রবাহ যেখানে কম ছিল, সেখানে মশার লার্ভা পাওয়া গিয়েছিল। সেই অবস্থার পরিবর্তন এখনো হয়েছে বলে মনে করি না, যার কারণে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ছে।

আরও পড়ুন >>> ডেঙ্গু : এত ভয়াবহ আকার ধারণ করল কেন? 

পাটখেতে কাজ করার সময় গত ৩ জুন রাজবাড়ীর কৃষক জাহিদ প্রামাণিককে সাপে কামড়ায়। প্রথমে তিনি চিকিৎসার জন্য পাংশা সদর হাসপাতালে যান।

প্রথম আলো

৬১% রোগীর চিকিৎসা দেন ওঝারা

সাপের বিষের চিকিৎসা না থাকায় তিনি বাসে চড়ে কুষ্টিয়ায় যান এবং সদর হাসপাতালে ভর্তি হন। চিকিৎসকদের প্রচেষ্টায় তাঁর প্রাণরক্ষা হয়।

জন্মনিবন্ধন, জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরিসহ নানা সেবা নিতে বিভিন্ন সরকারি সংস্থাকে মানুষ তার ব্যক্তিগত তথ্য দেয়। কিন্তু সেই তথ্য অনেক ক্ষেত্রেই সুরক্ষিত থাকছে না, ফাঁস অথবা বেহাত হয়ে যাচ্ছে।

প্রথম আলো

ফাঁস হয়ে যাচ্ছে ব্যক্তিগত তথ্য

বাংলাদেশের লাখ লাখ মানুষের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁসের সর্বশেষ ঘটনার খবর জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক অনলাইন সংবাদমাধ্যম টেকক্রাঞ্চ।

করোনাভাইরাস মহামারী ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অভিঘাতে দেশে ক্রমাগত বাড়ছে মূল্যস্ফীতি। গত বছরের জুনে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। চলতি বছরের জুনে তা দাঁড়ায় ৯ দশমিক ৭ শতাংশে। এ সময়ে বেড়েছে খাদ্যমূল্যস্ফীতিও।

বণিক বার্তা

মূল্যস্ফীতি ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়বে খাদ্যনিরাপত্তাহীনতা

চলতি বছরের মার্চ ও এপ্রিলে প্রায় ২৪ শতাংশ মানুষ তীব্র খাদ্যনিরাপত্তাহীনতায় ভুগেছে। মে থেকে আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এ হার বাড়বে আরও ৭ শতাংশ। বৈশ্বিক খাদ্যনিরাপত্তা নিয়ে কাজ করা ইন্টিগ্রেটেড ফুড সিকিউরিটি ফেজ ক্ল্যাসিফিকেশনের (আইপিসি) এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এমন পর্যবেক্ষণ।

বাংলাদেশে অর্থনীতির অন্যতম প্রধান স্তম্ভ রফতানি আয়। সরকারের ভিন্ন পরিসংখ্যানের কারণে রফতানির প্রকৃত তথ্য নিয়ে আগে থেকেই সন্দেহ পোষণ করে আসছিলেন সংশ্লিষ্টরা। বাংলাদেশ ব্যাংক ও চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সাম্প্রতিক পরিসংখ্যানের তুলনামূলক বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, পণ্যের রফতানি পরিমাণে কমলেও অর্থমূল্যে বেড়েছে।

বণিক বার্তা

রফতানি তথ্যের অসংগতি কাটছেই না

এরই মধ্যে ইপিবি ২০২২-২৩ অর্থবছরের রফতানির পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, গত অর্থবছরে ৫ হাজার ৫০০ কোটি ডলারের পণ্য রফতানি হয়েছে। তবে চট্টগ্রাম বন্দরের তথ্য ও সংশ্লিষ্ট রফতানিকারকরা বলছেন, গত অর্থবছরে রফতানি পরিমাণে যতটা কমেছে তাতে ৫ হাজার ৫০০ কোটি ডলারের রফতানির তথ্য আরও যাচাই-বাছাই করার প্রয়োজন রয়েছে।

কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প ক্রমেই দেশের জন্য বড় ধরনের বিষফোড়া হয়ে উঠেছে। প্রায়ই সেখানে খুনাখুনি ও অপহরণের ঘটনা ঘটছে। আধিপত্য বিস্তার নিয়ে খুনাখুনিতে জড়াচ্ছে মিয়ানমারকেন্দ্রিক বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠী।

সমকাল

আরসার বিরুদ্ধে একজোট সশস্ত্র রোহিঙ্গা গোষ্ঠী

দীর্ঘদিন ধরে ক্যাম্পে একক আধিপত্য চালিয়ে আসছিল আরসা। তবে কিছুদিন ধরেই উখিয়ায় আরসাকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে আরও অন্তত চারটি সশস্ত্র গ্রুপ। একাট্টা হয়ে তারা আরসার বিরুদ্ধে অবস্থান নিচ্ছে। এ গ্রুপগুলো হলো– মিয়ানমারের আরাকান সলিডারিটি অর্গানাইজেশন (আরএসও), ইসলামী মাহাজ, মুন্না বাহিনী ও নবী হোসেন গ্রুপ।

আরও পড়ুন >>> জনগণের টাকায় আনন্দ উল্লাস!

হিসাবের খাতায় গোঁজামিল দেওয়া সাম্প্রতিককালে আর্থিক খাতের কিছু প্রতিষ্ঠানের কাছে যেন ডাল-ভাত হয়ে গেছে। শুভঙ্করের ফাঁকির মতোই ব্যাংকের হাজার হাজার কোটি টাকার হিসাব অবলীলায় মিলিয়ে ফেলছে ‘অতি বুদ্ধিমান’ কিছু ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান। আর এক্ষেত্রে সব সীমা ছাড়িয়ে গেছে বেসরকারি খাতের এবি ব্যাংক।

প্রতিদিনের বাংলাদেশ

এবি ব্যাংকের হিসাবে শুভঙ্করের ফাঁকি!

২০২২ সালের আর্থিক বিবরণীতে ব্যাংকটি ২ হাজার ৩১৫ কোটি টাকার খেলাপি ঋণের তথ্য গোপন করেছে। এই খেলাপি ঋণের বিপরীতে যে পরিমাণ প্রভিশন রাখার কথা ছিল, তা না রেখেই লাভ দেখিয়েছে এবি ব্যাংক।

এছাড়া ছোট মেয়ে আইসিইউতে, হাসপাতালে বড় মেয়ে ও স্ত্রী, দিশাহারা নাহিদ; ঋণখেলাপি, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা, তবু পদোন্নতি পেয়ে সচিব; জুলাই থেকে সর্বজনীন পেনশন চালু হচ্ছে না; কয়েক লাখ নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস; সক্ষমতার ৫৬% বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয় দেশে; তিন বছরে ছয় হেক্টর বন বিলীন; ঈদ যাত্রায় ৮২ চালকের মৃত্যু; সংবাদগুলো বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে।