চট্টগ্রাম নগরের আকবরশাহ থানা এলাকায় পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ ৩৫০ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। রোববার (৯ জুলাই) থানার ফয়েজ লেক বেলতলীঘোনা এলাকায় চার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। তারা হলেন- মো. তৌহিদুল ইসলাম, মো. ওমর ফারুক, মো. মাসুদ রানা এবং জামিউল হিকমাহ। অভিযানে উত্তর পাহাড়তলী মৌজার ২ দশমিক ৮৮ একর খাস জমিসহ মোট ৫ একর পাহাড়ি জায়গা উদ্ধার করা হয়েছে।

জেলা প্রশাসন জানায়, ২০১৮, ২০২১, ২০২২ ও ২০২৩ সালে নানা সময়ে আকবর শাহ এলাকায় পাহাড় ধসে প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। সেখানে বিভিন্ন এনজিও এবং ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানের রমরমা কার্যক্রমে লোকজন বসবাসের সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন। পাহাড়ের ঝুঁকিপূর্ণ ও অবৈধ বস্তিগুলোতে বিভিন্ন দাতা ও দাতব্য সংস্থার ব্যাপক কার্যক্রম চলছে। এখানকার ড্রেন, টয়লেট, রাস্তা এমনকি স্কুলিং কার্যক্রম চলে এদের অর্থায়নে। তবে উচ্চ আদালতের নির্দেশে পাহাড় রক্ষায় এখন নিয়মিত সেখানে অভিযান চালানো হচ্ছে।

অভিযানে থাকা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌহিদুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, অভিযানে উত্তর পাহাড়তলীর বেলতলীঘোনা এলাকায় মোট ১৫টির মতো পাহাড় কাটার হটস্পট চিহ্নিত করা হয়েছে। যেখানে পাহাড় কেটে জমির শ্রেণি পরিবর্তন করেছে একটি চক্র। তাদের বিরুদ্ধে আকবর শাহ থানায় নিয়মিত মামলা দায়ের করতে পরিবেশ অধিদপ্তরের প্রতিনিধিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এমআর/এফকে