সৌদিতে ৯ বাংলাদেশির মৃত্যুর তিন দিন পর শোক জানালেন মন্ত্রী
সৌদি আরবের একটি সোফা তৈরির কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে নয় বাংলাদেশি নাগরিকের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ। বাংলাদেশিদের মৃত্যুর প্রায় তিন দিন পর মন্ত্রীর পক্ষ থেকে শোক জানানো হলো।
সোমবার (১৭ জুলাই) এক শোক বার্তায় মন্ত্রী নিহতদের শোক সন্তপ্ত পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়-স্বজনদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
ইমরান আহমদ বলেন, ১৪ জুলাই সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদ থেকে ৩৫০ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত হুফুফ শহরের আলআহসা ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল সিটি (সানাইয়া জাদিদ) এলাকায় একটি সোফা কারখানায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে নয় বাংলাদেশি নিহত হয়। দুইজন কর্মীকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছেন। দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশ দূতাবাসের কাউন্সেলর (শ্রম) দ্রুত ঘটনাস্থলে যান।
প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, দূতাবাস সূত্রে জানা যায়- কারখানাটিতে ১৪ জন বাংলাদেশি কর্মী কাজ করতেন। বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের ফলে অগ্নি দুর্ঘটনার সূত্রপাত হয়েছে মর্মে প্রাথমিকভাবে জানা যায়। শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে খাওয়া-দাওয়া করে কারখানার ওপরের আবাসনে ঘুমিয়ে ছিলেন ১২ জন কর্মী। এর মধ্যে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
মন্ত্রী বলেন, সৌদি আরবের রিয়াদ দূতাবাস এবং শ্রম কল্যাণ উইংয়ের কর্মকর্তারা দুর্ঘটনার সংবাদ শোনার পর থেকেই তাদের পাশে থেকে সার্বক্ষণিক প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করছেন।
নিহতদের পরিবারকে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সরকারি বিধি অনুযায়ী আর্থিক সহায়তা প্রদানের ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান মন্ত্রী।
নিহতরা হলেন- রাজশাহীর বাগমারার জফির উদ্দিন ছেলে মো. রুবেল হোসাইন, জমিরের ছেলে মোহাম্মদ সাজেদুল ইসলাম, শাহাদাত হোসাইনের ছেলে আরিফ, আনিসুর রহমান সরদারের ছেলে ফিরুজ আলী সরদার, নাটোরের নলডাংগার মো. দবির উদ্দিন ছেলে মোহাম্মদ উবায়দুল, নওগাঁর আত্রাইয়ের আইজাক প্রামানীকের ছেলে রমজান, রহমান সরদারের ছেলে বারেক সরদার, মাদারীপুরের কালকিনির ইউনুস ঢালীর ছেলে জুবায়েত ঢালী এবং সাভারের নগরকুন্দার মৃত আলাউদ্দীনের ছেলে সাইফুল ইসলাম। ঘটনাস্থল থেকে জীবিত উদ্ধার হয় বাংলাদেশি কর্মী বিপ্লব হোসেন ও মো. জুয়েল।
এনআই/এসএম