জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, গৃহকর্মে শিশুশ্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করা প্রয়োজন। বাংলাদেশে কতজন শিশু গৃহকর্মী রয়েছে ২০০৭ সালে সে পরিসংখ্যান করা হয়েছিল। এরপর ১৫ বছরেও শিশু গৃহকর্মীদের বিষয়ে আর কোনো জরিপ হয়নি, যা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।

সোমবার (১৭ জুলাই) দুপুরে মানবাধিকার কমিশনের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত ‘ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রমের তালিকায় গৃহকর্ম অন্তর্ভুক্তকরণের অগ্রগতি ও আইনি বাস্তবতা’ শীর্ষক সংলাপে তিনি এ কথা বলেন। এর আয়োজন করে অ্যাকশন ফর সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট। 

মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, শিশুদের একটি অংশ মানবিক মর্যাদা পাচ্ছে না। শিশু গৃহকর্মীদের শতকরা ৯০ শতাংশ কন্যা শিশু। একটি শিশু জন্মগ্রহণের সঙ্গে সঙ্গে জানান দেয় যে, সে জন্মগ্রহণ করেছে এবং এই পৃথিবীতে জন্মগ্রহণের সঙ্গে সঙ্গে তার কিছু অধিকার প্রাপ্য হয়। অথচ গৃহকর্মে নিয়োজিত শিশুরা তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়। অনেক ক্ষেত্রেই তারা নির্যাতন ও নিগ্রহের শিকার হয়। 

তিনি বলেন, গৃহকর্মে যাতে শিশুদের নিয়োগ করা না হয় সেজন্য নিয়োগকর্তাদের পাশাপাশি অভিভাবকদেরও সচেতন করতে হবে। সমাজের মানসিকতা পরিবর্তন করতে হবে। এ বিষয়ে আমাদের সবাইকে সম্মিলিতভাবে সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক কাজ করতে হবে। পাশাপাশি গৃহকর্মী সুরক্ষা আইন প্রণয়নের বিষয়েও আমাদের একযোগে উদ্যোগ নিতে হবে।

সংলাপে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কমিশনের সার্বক্ষণিক সদস্য মো. সেলিম রেজা। 

অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন শাপলানীর কান্ট্রি ডিরেক্টর তোমকো উচিয়ামা, এডুকো বাংলাদেশের হালিমা আক্তার, ইউনিসেফের চাইল্ড প্রটেকশন স্পেশালিস্ট শাবনাজ জাহেরিন, জাতীয় কন্যা শিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের সেক্রেটারি নাসিমা আক্তার জলি, অ্যাকশন ফর সোশ্যাল ডেভেলপমেন্টের নির্বাহী পরিচালক এম এ করিম, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের উপ-পরিচালক এম রবিউল ইসলাম ও  উপপরিচালক ফারহানা সাঈদ।

জেইউ/কেএ