আত্মহত্যার কারণগুলোর মধ্যে ৮০ শতাংশই হলো মানসিক রোগ। আর তাদের ভেতরে আবার বেশিরভাগ ডিপ্রেসিভ ডিজঅর্ডারের কারণে। বাকিদের মধ্যে সিফোফ্রেনিয়া, পারসোনালিটি ডিজঅর্ডার আর রয়েছে মাদকাসক্তি। তাই চেষ্টা করলেই আত্মহত্যা ঠেকানো যায় এবং আত্মহত্যা প্রতিরোধযোগ্য বলে জানিয়েছে সোসাইটি ফর সুইসাইড প্রিভেনশন বাংলাদেশ (এসএসপিবি)।

সোমবার (১৭ জুলাই) এসএসপিবির কার্যনিবার্হী কমিটির প্রথম আলোচনা সভায় একথা বলেন কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মো. ওয়াজিউল আলম চৌধুরী।

ওয়াজিউল আলম চৌধুরী বলেন, আত্মহত্যা প্রতিরোধযোগ্য। আর প্রতিরোধযোগ্য হওয়ার পরেও যদি আমরা প্রতিরোধের চেষ্টায় না করি তাহলে সেটা হবে অন্যায় কাজ, যা আমাদের মোরাল অবলিগেশন এটা।

তিনি বলেন, আমাদের সমাজে যিনি একবার আত্মহত্যার চেষ্টা করে বেঁচে যান, তিনি আর আত্মহত্যা করেন না -এটা একটা মিথ এবং সমাজের অন্যতম একটি ভুল ধারণা। অথচ এই ভুল ধারণাও আমাদের দূর করতে হবে। আমরা চেষ্টা করবো সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে আত্মহত্যা প্রতিরোধ বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করতে।

মানুষ আত্মহত্যা করে মারা যাবে কেন, যেহেতু এটি একটি প্রতিরোধযোগ্য মৃত্যু -এখানেই এই কমিটি কাজ করবে পুরো দেশজুড়ে, বলেন অধ্যাপক ডা. মো. ওয়াজিউল আলম চৌধুরী। আর এজন্য পারিবারিক, প্রাতিষ্ঠানিকসহ যেখানে যেখানে কাজ করা দরকার, আমরা সেখানে সেভাবেই কাজ করবো।

মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞরা বলেন, আমাদের মানুষের কাছে যেতে হবে, মানুষকে বলতে হবে, বোঝাতে হবে-তাহলে ধীরে ধীরে আত্মহত্যা প্রতিরোধের দিকে এগিয়ে যাওয়া যাবে।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি অধ্যাপক ডা. ওয়াজিউল আলম চৌধুরীকে সভাপতি ও  ডা. তারিকুল আলকে সাধারণ সম্পাদক করে সোসাইটি ফর সুইসাইড প্রিভেনশন বাংলাদেশে (এসএসপিবি) ২০২৩-২৪ সালের কার্যনিবাহী কমিটি গঠন করা হয়। এরপর গত ১৬ জুলাই এই কমিটির প্রথম আলোচনা সভায় এসএসপিবির উদ্দেশ্য, লক্ষ্য, কর্মপরিকল্পনা এবং বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন মানসিক রোগ বিষেশজ্ঞ চিকিৎসকরা।

টিআই/এসএম