ডেঙ্গুর ভয়াবহতা নিয়ন্ত্রণে চার ফর্মুলা তাবিথ-ইশরাকের
রাজধানীতে ডেঙ্গুর ভয়াবহতা চারটি ফর্মুলায় নিয়ন্ত্রণ সম্ভব বলে মনে করছেন তাবিথ আউয়াল ও ইশরাক হোসেন। তাদের ফর্মুলাগুলো হলো- ডেঙ্গু রোগীদের রক্ত ডোনেট করা, জনসচেতনতায় প্রচারণা, সরকারি স্থাপনায় ডেঙ্গুর লার্ভা খুঁজে বের করে ধ্বংসের উদ্যোগ, জলাবদ্ধতা নিরসনে স্থানীয় জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া।
শুক্রবার (২১ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এসব ফর্মুলার কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
সংবাদ সম্মেলনে তাবিথ আউয়াল বলেন, দুর্নীতি ও অবহেলার কারণে দিন দিন ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ হচ্ছে। ডেঙ্গুর উৎপত্তিস্থল জলাবদ্ধতা নিরসন না করার কারণে লার্ভা বেড়েই চলেছে।
সরকারের ব্যর্থতা জনগণের ওপরে চাপানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ তাবিথের। বলেন, সেজন্য মাঝেমধ্যে লোক দেখানো বাড়ির মালিককে জরিমানা করা হচ্ছে। এমনকি প্রশাসনের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তারাও একে অপরকে দোষারোপ করছেন।
বিজ্ঞাপন
ইশরাক হোসেন বলেন, জনগণের কাছে জবাবদিহিতা না থাকার কারণে এই ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। মনগড়া কিছু লোক দেখানো কাজ করা হচ্ছে, যা কোনো কাজেই আসছে না।
এডিসের লার্ভা খুঁজতে ড্রোন উড়ানোর মতো উদ্ভট কাজ করা হচ্ছে উল্লেখ করে ইশরাক বলেন, ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসার জন্য বিশেষ কোনো হাসপাতালের ব্যবস্থা করা হয়নি। এমনকি প্রচলিত চিকিৎসার জন্য বিশেষ বরাদ্দ দেওয়া হয়নি।
মশার লার্ভা নিধনে কীটনাশক কিনতে সীমাহীন দুর্নীতি করে ওষুধে কেরোসিন মেশানো হচ্ছে বলে দাবি ইশরাকের। তিনি বলেন, যার কারণে তাতে কার্যকর কোনো ফলাফল আসছে না।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক প্রমুখ।
এএইচআর/এমএ