আসন্ন রমজানে গরুর মাংসের দাম ৫৫০ টাকার মধ্যেই রাখতে চান ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানিয়েছেন বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব রবিউল আলম। 

বুধবার (৩১ মার্চ) সন্ধ্যায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) আয়োজনে রমজানে মাংসের দাম নির্ধারণ বিষয়ক এক ভার্চুয়াল মিটিংয়ে তিনি এ তথ্য জানান।

মাংস ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে এ ঘোষণা শুনে ভার্চুয়াল সভার সভাপতি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজা বলেন, আমরা বিষয়টি নিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সঙ্গে আলোচনা করবো। আপনারা কত টাকার মধ্যে মাংসের দাম রাখতে পারবেন তা আজ জানলাম। এখন আমরা আলোচনার মাধ্যমে রমজানের আগেই মাংসের দামের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবো।

বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব রবিউল আলম এসময় বলেন, রমজানে মাংসের দাম ৫৫০ টাকায় রাখতে পারবো আমরা। কেউ রমজান মাসে এর বেশি দামে মাংস বিক্রি করতে পারবে না। কোনো দোকান যদি এর চেয়ে বেশি দামে মাংস বিক্রি করার চেষ্টা করে, তাহলে আমরা তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবো।

ভার্চুয়াল সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসি সচিব রবীন্দ্র শ্রী বড়ুয়া, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জোবায়দুর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমিরুল ইসলাম, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মোজাম্মেল হকসহ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির প্রতিনিধিরা।

এর আগে রমজানে মাংসের দাম প্রসঙ্গে বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব রবিউল আলম ঢাকা পোস্টকে বলেন, রমজানে মাংসের দাম বেড়ে যাওয়ার একাধিক কারণ আছে। মাংস ব্যবসায়ীদের জন্য একটি খাজনা নির্ধারণ করা আছে, যেন আমরা কম দামে মাংস বিক্রি করতে পারি। কিন্তু গাবতলী পশুর হাটে বিশাল এক সিন্ডিকেট আছে। যাদের কারণে গরু বেশি দামে কিনতে হয়। তাই মাংসের দামও বেড়ে যায়।

তিনি বলেন, সবকিছু ঠিক থাকলে রমজানে প্রতি কেজি মাংসে দাম ৫৫০ টাকা নির্ধারণ হবে। মাংসের দাম বাড়লে ব্যবসায়ীদের লাভ হয়ে না বরং লোকসান হয়। কারণ, বাড়তি দামে সাধারণ ক্রেতারা মাংস কেনেন না। যে কারণে বেশিরভাগ মাংসের দোকান বন্ধ হয়ে যায়।

সরকার যদি মাংস ব্যবসায়ী সমিতির প্রস্তাব মেনে নেয়, তাহলে ক্রেতাদের কাছে দুই বছরের মধ্যে ৩০০ টাকা কেজিতে গরুর মাংস বিক্রি করা সম্ভব হবে বলেও জানান তিনি।

এএসএস/আরএইচ