পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার বলেছেন, বাঘ সংরক্ষণে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে বিশেষ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এ প্রকল্পের আওতায় সুন্দরবনের পশ্চিম বন বিভাগে বাঘ গণনার প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে, পূর্ব বন বিভাগে অবশিষ্ট কার্যক্রম যথাসময়ে শুরু হবে।

তিনি বলেন, বাঘের নিরাপত্তা, বিশ্রাম ও স্বাভাবিক জীবন-যাপনের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য সুন্দরবনে পর্যটক প্রবেশ সীমিত করতে হবে। 

শনিবার (২৯ জুলাই) বিশ্ব বাঘ দিবস উপলক্ষ্যে ‘বাঘ করি সংরক্ষণ, সমৃদ্ধ হবে সুন্দরবন’ প্রতিপাদ্যে রাজধানীর বন অধিদপ্তরে আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন বেগম হাবিবুন নাহার।

উপমন্ত্রী বলেন, বাঘ সংরক্ষণে বন বিভাগ যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছে, স্মার্ট পেট্রোলিং করছে। সবাই মিলে বন অধিদপ্তরের পাশে দাড়াতে হবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ বলেন, বাঘসহ অন্যান্য প্রাণী সংরক্ষণে আমরা সাংবিধানিকভাবে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। এছাড়াও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন কনভেনশনে স্বাক্ষরকারী দেশ হিসেবে বাঘ সংরক্ষণে বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সরকার ও জনগণের সম্মিলিত প্রয়াসে এ অঙ্গীকার পূরণ করতে হবে। এ কাজে জনগণকে সম্পৃক্ত করতে ব্যাপকভাবে জনসচেতনতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ডক্টর মোহাম্মদ মোস্তফা ফিরোজ, আইইউসিএন-এর কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ ও দক্ষিণ এশিয়া উপ-অঞ্চল প্রধান রাকিবুল আমিন। 

স্বাগত বক্তব্য রাখেন বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ অঞ্চলের বন সংরক্ষক ইমরান আহমেদ। বিষয়ভিত্তিক উপস্থাপনা করেন সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. আবু নাসের মোহসিন হোসেন।

এসএইচআর/এফকে