অবিলম্বে বকেয়া টাকা পরিশোধ, দৈনিক মজুরি ৫০০ টাকা নির্ধারণ ও ভূমির অধিকারসহ ১০ দফা দাবি জানিয়েছে চা-শ্রমিকের ১০ দফা বাস্তবায়ন সংগ্রাম কমিটি।

রোববার (৩০ জুলাই) রাজধানীর পল্টনে শ্রমভবন ঘেরাও কর্মসূচীর আগে সমাবেশে এসব দাবি জানান কমিটির সমন্বয়ক এস এম শুভ।

তিনি বলেন, দেশের সবচেয়ে কম মজুরিতে কাজ করা শ্রমিকদের কথা কেউ মনে রাখে না। শ্রমিকরা যখন দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ার পর আন্দোলনে নামেন, তখন সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে শুরু করে মালিকপক্ষ তাৎক্ষণিকভাবে আশ্বাস দিয়ে চুক্তিবদ্ধ হন, কয়েকদিন যেতে না যেতেই তারা সেসব ভুলে যান।

তিনি আরও বলেন, গত ১ মার্চ ত্রি-পক্ষীয় চুক্তির মাধ্যমে মাত্র ১১ হাজার টাকা ৩ কিস্তিতে পরিশোধের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। শ্রমিকদের বকেয়া পাওনা থেকে বঞ্চিত করার চক্রান্তের বিরুদ্ধে বাগানে বাগানে তীব্র ক্ষোভ পুঞ্জীভূত হয়েছে। অবিলম্বে পূর্ণ বকেয়া পরিশোধ করা না হলে শ্রমিকের ক্ষোভ বিস্ফোরণে রূপান্তরিত হবে। ঘেরাও সমাবেশ থেকে নেতৃবৃন্দকে শ্রমিকের দুর্দশা লাঘব ও সুষ্ঠু শ্রম পরিবেশ বজায় রাখার স্বার্থে কালবিলম্ব না করে পূর্ণ বকেয়া পরিশোধ করতে হবে।

সিলেট-মৌলভীবাজার-হবিগঞ্জের ছয়টি ভ্যালির প্রায় ৭০টি চা-বাগানের প্রতিনিধিরা সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন।

পরে একটি প্রতিনিধি দল শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর চা-শ্রমিকদের ১০ দফা বাস্তবায়ন সংগ্রাম কমিটির স্মারকলিপি দেয়। এসময় শ্রম অধিদপ্তরের পরিচালক মুহাম্মদ নাসির উদ্দিন, মৌলভীবাজার বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ নাহিদুল ইসলাম প্রতিনিধি দলের কাছে শ্রমিকদের দাবি যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে উপস্থাপন ও বাস্তবায়নের আশ্বাস দেন।

এমএইচএন/এফকে