নার্সিং ইনস্টিটিউট দখলের চেষ্টা করে শাস্তি পেলেন পুলিশ সুপার

পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় শাস্তি পেয়েছেন টাঙ্গাইলের পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারের (পিটিসি) পুলিশ সুপার আব্দুর রহিম শাহ চৌধুরী। এসবির বিশেষ পুলিশ সুপারের দায়িত্ব থাকাকালে এসব কাণ্ড ঘটিয়েছেন তিনি। তিন বছরের জন্য 'নিম্ন বেতন গ্রেডে অবনমিতকরণ' গুরুদণ্ড দেওয়া হয়েছে তাকে।

সোমবার (৩১ জুলাই) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের শৃঙ্খলা-১ শাখার সিনিয়র সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপন তাকে এ গুরুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।  

প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, আব্দুর রহিম শাহ চৌধুরী রাজশাহী জেলার বালিয়াপুকুর দেবীসিংপাড়ার জার্মিনেট প্লাজায় ‌মমতা নার্সিং ইনস্টিটিউট নামে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পরিচালনার সঙ্গে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া সম্পৃক্ত হয়ে সরকারি কর্মচারী আচরণ বিধিমালা ভঙ্গ করা, চেয়ারম্যান ও ভবন মালিক হিসেবে ৩০ শতাংশ অংশীদার দাবি করা, মমতা নার্সিং ইনস্টিটিউটের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কমিটির সদস্যদের সঙ্গে মতপার্থক্য তৈরি করা ও তা দখল নেওয়ার চেষ্টা করা এবং এ প্রতিষ্ঠানের সদস্যদের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের করে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। এরপর তিনি কারণ দর্শানোর জবাব দেন। তার অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে ব্যক্তিগত শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। বিধিমালা অনুযায়ী তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়।

তদন্ত কর্মকর্তা সকল বিধি বিধান প্রতিপালন করে সরেজমিনে তদন্ত শেষে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। 

এ তদন্ত প্রতিবেদনে অভিযুক্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আনা অসদাচরণের অভিযোগ প্রতীয়মান হয়েছে মর্মে মতামত দেন বলেও প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়।

এতে বলা হয়, অভিযোগ, লিখিত জবাব, ব্যক্তিগত শুনানিতে উভয় পক্ষের বক্তব্য, তদন্ত প্রতিবেদন ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ প্রাসঙ্গিক দলিলপত্রাদি পর্যালোচনায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো প্রমাণিত হওয়ায় দ্বিতীয়বার কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে তিনি যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে দ্বিতীয় কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব দেন। 

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়,  প্রথম ও দ্বিতীয় কারণ দর্শানোর জবাব, শুনানিকালে উভয়পক্ষের বক্তব্য, তদন্ত প্রতিবেদন ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ প্রাসঙ্গিক দলিলপত্রাদি বিবেচনায় বিধি মোতাবেক 'অসদাচরণ' এর অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিধিমালা অনুসারে তাকে আগামী তিন বছরের জন্য 'নিম্ন বেতন গ্রেডে অবনমিতকরণ' গুরুদণ্ড প্রদান করা হলো।

এসএইচআর/এসকেডি