খাদ্য অধিদপ্তরের সাবেক সহকারী উপ-পরিচালক সিরাজুল ইসলামের সোয়া কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের অভিযোগে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অবৈধ সম্পদের মধ্যে ঢাকার উত্তরা ও কাকরাইলে বিলাসবহুল ফ্ল্যাট ও নগদ বিনিয়োগের তথ্য রয়েছে।

এছাড়া ৬০ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী মোস্তফা সুলতানার বিরুদ্ধে পৃথক আরেকটি মামলা করেছে দুদক। ওই মামলায়ও সিরাজুল ইসলামকে আসামি করা হয়েছে।

বুধবার (২ আগস্ট) সংস্থাটির উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করেছেন। দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) মুহাম্মদ আরিফ সাদেক বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

সিরাজুল ১৯৮৭ সালের ২৬ নভেম্বর উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা হিসেবে চাকরিতে যোগ দেন। ২০২১ সালে সহকারী উপ-পরিচালক পদে থেকে অবসর নেন। দীর্ঘ চাকরি জীবনে ঘুষ দুর্নীতির মাধ্যমে ঢাকার উত্তরায় ১৬৫৪ বর্গফুট ও কাকরাইলে ২০২০ বর্গফুটের ফ্ল্যাট কেনেন। এছাড়া একাধিক ব্যাংকে সিরাজুলের আর্থিক লেনদেনের প্রমাণ মেলে অনুসন্ধানে।

খাদ্য অধিদপ্তরের সাবেক কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় তার অর্জিত ৩ কোটি ১৪ লাখ ৭ হাজার ৬৭৭ টাকার সম্পদের মধ্যে ১ কোটি ১২ লাখ ৩২ হাজার ৫৩৩ টাকার সম্পদ আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ও জ্ঞাত আয় বহির্ভূত হওয়ায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।

অন্যদিকে একই দিন ওই খাদ্য কর্মকর্তা ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওই মামলায় অবৈধ সম্পদ অর্জনে সহযোগিতার কারণে স্ত্রীকে প্রধান আসামি ও স্বামী সিরাজুল ইসলামকে সহযোগী আসামি করা হয়েছে।

ওই মামলার এজাহারে বলা হয়, দুদকের সম্পদের বিবরণীর নোটিশ দেওয়ার পর ২০১৯ সালের ২৭ অক্টোবর সম্পদ বিবরণ কমিশনে দাখিল করেন সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী মোস্তফা সুলতানা। যেখানে তিনি ১৩ লাখ ৩৫ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য গোপন ও ৪৬ লাখ ৭৬ হাজার ১৪৩ টাকার অবৈধ সম্পদের অর্জনের প্রমাণ পাওয়া গেছে।

তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারা তৎসহ দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

আরএম/এসকেডি