বাংলাদেশে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিরোধী রাজনৈতিক মতের ওপর শক্তি প্রয়োগ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)। 

সংস্থাটির দাবি, নির্বাচনের আগে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গণগ্রেপ্তার অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের শর্তকে দুর্বল করছে।

বুধবার এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে মার্কিন মানবাধিকার সংস্থাটি।

প্রতিবেদনে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ দাবি করে, অতি সম্প্রতি ঢাকায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) বিক্ষোভ কর্মসূচির আগে (২৯ জুলাই) দলটির আট শতাধিক নেতাকর্মীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। এছাড়া বিক্ষোভে নির্বিচারে রাবার বুলেট, লাঠিপেটা, টিয়ার গ্যাস ও জলকামান ছোড়া হয়েছে। সমাবেশের আগে অন্তত দেড় হাজারের বেশি বিরোধী মতের নেতাকর্মীর নামে মামলা করেছে।

এদিকে নির্বাচনের আগে ভূতুড়ে মামলা ও গণগ্রেপ্তার গণতন্ত্র ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পথে বড় বাধা জানিয়ে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলেছে, অনেক ক্ষেত্রেই গ্রেপ্তারের অভিযোগ ভিত্তিহীন হয়।

হিউম্যান রাইটস ওয়াচের ডেপুটি এশিয়া ডিরেক্টর মীনাক্ষী গাঙ্গুলী বলেন, আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের রাজনৈতিক বিরোধীদের ওপর দমন-পীড়নকে বাংলাদেশে নির্বাচন গণতান্ত্রিক হবে না এমন শঙ্কা হিসেবে দেখা উচিৎ। 

সম্প্রতি ইইউয়ের বিশেষ প্রতিনিধি গিলমোর ঢাকা সফরকালে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ শাহরিয়ার আলম অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। তবে এর সঙ্গে বিরোধী দলের ওপর দমন-পীড়নও চালানো হচ্ছে। বাংলাদেশ সরকার অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে আন্তর্জাতিক অঙ্গীকার করছে; যদিও তাদের বর্তমান পদক্ষেপ নিন্দনীয় এবং অঙ্গীকারের বিপরীত।  

এনএফ