নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার বাড়ালে প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রভাব কমে যাবে৷ নেট মিটারিং সোলার ব্যবহারে নবায়নযোগ্য শক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার হয়ে থাকে। টেকসই উন্নয়ন করার জন্য সূর্য শক্তির ব্যবহার বাড়াতে হবে৷  সূর্য শক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার করার জন্যই সোলারের ব্যবহার প্রতিটি ঘরে ঘরে করতে হবে। সেই জন্য নাগরিক সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে৷ টেকসই উন্নয়নে টেকসই চিন্তনীয় নাগরিক প্রয়োজন।  

মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) আইইবির কাউন্সিল হলে আয়োজিত 'বাংলাদেশে নেট মিটারিং পদ্ধতিতে রুফটপ সোলারের সম্ভাবনা এবং প্রকৌশলীদের ভূমিকা' শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন৷  

প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইইবির প্রেসিডেন্ট মো. আবদুস সবুর বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সরকারের পাশাপাশি সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে৷ সামগ্রিক উন্নয়ন মানেই স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ। প্রকৌশলীরা স্মার্ট প্রযুক্তি তৈরি করার পাশাপাশি সেই প্রযুক্তিটি জন-বান্ধব ও ব্যবহার সাশ্রয়ী করতে হবে। নবায়নযোগ্য শক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহারে প্রকৌশলী সৃজনশীল ও উদ্ভাবনী আবিষ্কারের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করবে।  

ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী শেখ তাজুল ইসলাম তুহিন বলেন, নেট মিটারিং পদ্ধতিতে রুফটপ সোলারের প্রচার আরও বাড়াতে হবে। এই পদ্ধতিতে একজন সোলার মালিক একই সঙ্গে বিদ্যুৎ উৎপাদক৷ জাতীয় গ্রিডের বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারে৷ আমরা যত বেশি নেট মিটারিং পদ্ধতিতে রুফটপ সোলার বাড়াতে পারি ততই বিদ্যুৎ উৎপাদনে স্বনির্ভর হব।  

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আইইবির ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রকৌশলী খন্দকার মনজুর মোর্শেদ, ডিপিডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী বিকাশ দেওয়ান, ডেসকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো. কাওসার আমীর আলী।

ওএফএ/এসকেডি