মহিলা ও শিশু শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেছেন, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিনী, সহকর্মী, সহযোদ্ধা ও জীবনের চালিকা শক্তি। তিনি বাঙালি জাতির স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রতিটি পদক্ষেপে বঙ্গবন্ধুকে সক্রিয় সহযোগিতা করেছেন ও প্রেরণা দিয়েছেন। 

মঙ্গলবার রাতে ঢাকা থেকে অনলাইনে লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশন আয়োজিত মহীয়সী নারী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯৩তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

প্রতিমন্ত্রী বলেন, মহীয়সী নারী বঙ্গমাতা নিজেকে শুধু স্বামী, সন্তান, সংসার ও আত্বীয়-স্বজনের প্রতি নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকেননি। তিনি বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক, সামাজিক ও পারিবারিক জীবনে সর্বক্ষণের সহযোগী ও অনুপ্রেরণাদায়ী হয়ে নিভৃতে কাজ করে গেছেন।

তিনি বলেন, বঙ্গমাতা স্বাধীনতার পর দেশ পুনর্গঠনে রেখে গেছেন অনন্য ভূমিকা। তিনি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গড়ার কাজে আত্মনিয়োগ করেন এবং স্বাধীন বাংলাদেশে নারীদের কর্মসংস্থানসহ নারী উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নের প্রকৃত পথ প্রদর্শক ছিলেন। তিনি নারীদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে দক্ষতা এবং সক্ষমতা বৃদ্ধি ও কুটির শিল্পসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। 

যুক্তরাজ্য নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাঈদা মুনা তাসনিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব কবীর বিন আনোয়ার, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান মাহমুদ শরিফ, আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক এ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল, লন্ডনের ক্যামেডোন কাউন্সিলের মেয়র নাজমা রহমান, রেডব্রিজ কাউন্সিলের মেয়র জোসনা রহমান ইসলাম, ব্রেন্ট কাউন্সিলের কাউন্সিলর রিতা বেগম ও সেন্ট্রাল ফ্যামিলি কোর্টের বিচারক খাতুন স্বপ্না আরা। 

অনুষ্ঠানে হাইকমিশনের পক্ষ থেকে ডা. হালিমা খাতুনকে ‘বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব উইমেন এমপাওয়ারমেন্ট অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করা হয়। 

এসএইচআর/এমএসএ